Shantipur By-Election Results 2021: ‘গণনা প্রভাবিত করতেই ভিতরে মহুয়া মৈত্র’, তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক বিজেপির জগন্নাথ
West Bengal Election Results 2021: রানাঘাট কলেজ শান্তিপুর উপনির্বাচনের গণনা কেন্দ্র। মঙ্গলবার সকাল সকাল এই কেন্দ্রের সামনে হাজির হয়ে যান এখানকার বিদায়ী বিধায়ক তথা সাংসদ জগন্নাথ সরকার।
নদিয়া: চার বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনের (By-Election) ফল ঘোষণা মঙ্গলবার। এদিকে ফল ঘোষণা শুরুর আগেই তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে গণনাকেন্দ্রে ‘প্রভাব খাটানোর চেষ্টা’র অভিযোগ তুললেন বিজেপি সাংসদ। শান্তিপুর বিধানসভা কেন্দ্রের গণনাকেন্দ্রের সামনে দাঁড়িয়ে বিজেপির জগন্নাথ সরকার অভিযোগ তোলেন, গণনা শুরুর আগে ভিতরে গিয়েছেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। তিনি গণনা প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করবেন। যদিও বিজেপি সাংসদের অভিযোগ নিয়ে মহুয়া মৈত্রের পাল্টা তোপ, “অশিক্ষিত বক্তব্যের উত্তর দেওয়ার কোনও ইচ্ছা আমার নেই।”
রানাঘাট কলেজ শান্তিপুর উপনির্বাচনের গণনা কেন্দ্র। মঙ্গলবার সকাল সকাল এই কেন্দ্রের সামনে হাজির হয়ে যান এখানকার বিদায়ী বিধায়ক তথা সাংসদ জগন্নাথ সরকার। সেখানেই জগন্নাথ অভিযোগ তোলেন, “নির্বাচনী ক্ষেত্রে পক্ষপাতিত্ব হচ্ছে। এটা আমরা পরিষ্কার বলছি। কোনও ভিভিআইপির কিন্তু ভিতরে যাওয়ার এক্তিয়ার নেই। এদিকে আমরা শুনলাম কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্র ভিতরে গিয়েছেন। কী করে যান? দেখভালের দায়িত্বে যারা রয়েছে, অফিসার যাঁরা রয়েছেন তাদের পক্ষপাতিত্ব না থাকলে কী ভাবে গেলেন? তিনি কাউন্টিংকে প্রভাবিত করবেন। আমি কিন্তু ভিতরে ঢোকার চেষ্টাও করিনি। আমার এক্তিয়ার নেই বলেই চেষ্টা করিনি। আমাদের তীব্র আপত্তি সাংসদ মহুয়া মৈত্র ভিতরে গিয়েছেন। উনি যেতে পারেন না।”
বিধানসভা নির্বাচনে শান্তিপুর বিধানসভা আসন থেকে জয়ী হয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার। প্রায় ৩০ হাজার বেশি ভোট পেয়ে জয়ী হন তিনি। কিন্তু ফল প্রকাশের পর তিনি পদত্যাগ করেন। সাংসদ পদ বেছে নিয়েই পদত্যাগ করেন তিনি। শান্তিপুরে তৃণমূলের প্রার্থী ব্রজকিশোর গোস্বামী, বিজেপির প্রার্থী নিরঞ্জন বিশ্বাস, সিপিএমের প্রার্থী সৌমেন মাহাতো। কংগ্রেসও প্রার্থী দিয়েছে। রাজু পাল এখানে কংগ্রেসের মুখ। অর্থাৎ শান্তিপুরের উপনির্বাচনে এবার চর্তুমুখী লড়াই।
সেই লড়াইয়ে কে শেষ হাসি হাসবে তা তো সময়েরই অপেক্ষা। কিন্তু ভোট গণনা শুরুর আগেই কার্যত তরজায় জড়াল বিজেপি-তৃণমূল। সাংসদ জগন্নাথ সরকারের কথায়, “উপনির্বাচনে প্রশাসন নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করে না। এই ভোটকে শুধু রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ বললে হবে না, গণনা কতটা নিরপেক্ষ হবে তাও দেখার। এখানে দেখলেন সাংবাদিকদের ছবি তুলতে দিচ্ছে না, এদিকে মহুয়া মৈত্র ভিতরে গিয়েছেন। কী করে তিনি ভিতরে ঢোকেন? প্রভাবিত করার জন্যই গিয়েছিলেন। আমরা প্রতিবাদ করার পর শুনলাম তিনি বেরিয়ে যান। কিন্তু উনি ঢুকলেন কী ভাবে? পুলিশ প্রশাসন কী করছিল? উনি তো দলবল নিয়ে ভিতরে গিয়েছিলেন। কাউকে যে বসিয়ে রেখে এলেন না তার কী প্রমাণ আছে? আমি ইমেল মারফৎ কমিশনকে অভিযোগ জানাব।” মহুয়া মৈত্র অবশ্য এই অভিযোগকে আমলই দিতে নারাজ।