Nadia Mysterious Death: দরজার সামনে ঝুলছেন স্বামী, ঘরের ভিতরে স্ত্রী-মেয়ে হাতেনাতে যে অবস্থায় ধরে ফেললেন পড়শিরা
Nadia Mysterious Death: পড়শিদের কাছেও মাঝেমধ্যে নিজের দুঃখের কথা জানাতেন নাসির। জানা গিয়েছে, ইদানীং নিজের সম্পত্তি বিক্রি করে দিয়েছিলেন তিনি।
নদিয়া: টালির চালের বাড়িটার সামনে কিছুটা জায়গা। দু’কামরার ঘরের বেশ কয়েকটি টালি আবার ভেঙে পড়েছে। তারই কড়িকাঠের সঙ্গে বাঁধা একটা গামছা। একেবারে ঘরে ঢোকার মুখে সেই গামছার সঙ্গেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছেন বাড়ির কর্তা। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, ঘরের ভিতর তখনও নির্বিকার অবস্থায় বসেছিলেন ওই ব্যক্তির স্ত্রী-মেয়ে। বাইরে যখন তুমুল হট্টগোল, তখন চৌকির ওপর শুয়ে-বসে স্ত্রী-মেয়ে। পড়শিদের দাবি তেমনটাই। দৃশ্য দেখে প্রতিবেশীরা রীতিমতো হতবাক হয়ে যান। সমস্ত ক্ষোভ আছড়ে পড়ে স্ত্রীর ওপরেই। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, স্বামীকে খুন করে বাড়ির সামনেই ঝুলিয়ে দিয়েছেন স্ত্রী। অভিযোগ ঘিরে সরগরম নদিয়ার চাপড়ার ছোটো আন্দুলিয়া এলাকায়। মৃতের নাম নাসির মণ্ডল।
স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, নাসির তাঁর স্ত্রী নার্গিস ও মেয়ে নাফিসাকে নিয়ে থাকতেন। দেড় কাঠা জমি রয়েছে তাঁর। সেখানে একটা ভগ্নপ্রায় টালির বাড়ি। অভিযোগ, সেই সম্পত্তির ওপরেই নজর ছিল স্ত্রী ও মেয়ের। সেই সম্পত্তি হাতিয়ে নিয়ে বাড়ি থেকে নাসিরকে বার করে দেওয়ার চেষ্টা করতেন তাঁরা। ওই পরিবারে অশান্তির কথা প্রতিবেশীরাও জানতেন।
পড়শিদের কাছেও মাঝেমধ্যে নিজের দুঃখের কথা জানাতেন নাসির। জানা গিয়েছে, ইদানীং নিজের সম্পত্তি বিক্রি করে দিয়েছিলেন তিনি। সেকথা জানতে পারেন স্ত্রী ও মেয়ে। তারপর থেকে নাসিরের ওপর অত্যাচার আরও বাড়তে থাকে।
গত কয়েকদিনে ওই বাড়ি থেকে প্রচুর চিৎকার চেঁচামেচির শব্দও শুনতে পেয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সোমবার সন্ধ্যাতেও শুনেছিলেন। কিন্তু ,তার কিছুক্ষণ পর সব স্তব্ধ হয়ে যেতে শুনেছিলেন তাঁরা। মঙ্গলবার সকালে নাসিরের দেহ উদ্ধার হয়।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, নাসিরকে মেরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলিয়ে দিয়েছেন তাঁর স্ত্রী ও মেয়েই। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। ঘটনার পর অভিযুক্ত স্ত্রী এবং মেয়েকে আটক করেছে চাপড়া থানার পুলিশ। তাঁদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে চাপড়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। যদিও অভিযুক্তদের দাবি, আত্মঘাতী হয়েছেন নাসির। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে চাপড়া থানার পুলিশ।
এক গ্রামবাসী বলেন, “ওই পরিবারে ঝামেলা লেগেই থাকত। মূলত সম্পত্তি নিয়েই ঝামেলা। এই তো ঘর, সেটাও দখলের চেষ্টা চলছিল। তা বলে এমনটা ঘটবে, কেউ বোঝেননি।”