TMC Worker Murder: চা দোকানের ভিতরেই একের পর এক কোপ, দুষ্কৃতীদের হাতে প্রাণ গেল তৃণমূল কর্মীর

Nadia: পরিবারের দাবি দশদিন আগে তিনি অনুমান করেছিলেন তাঁকে খুন করা হতে পারে।

TMC Worker Murder: চা দোকানের ভিতরেই একের পর এক কোপ, দুষ্কৃতীদের হাতে প্রাণ গেল তৃণমূল কর্মীর
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু পুলিশকর্মীর (প্রতীকী ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 20, 2021 | 8:29 PM

নদিয়া: কিছুদিন আগে খুন হবেন এমন আশঙ্কা করে পুলিশকে জানিয়েছিলেন। তবে সেই আশঙ্কাই সত্যি হবে এমনটা হয়ত ভাবতে পারেননি। চা দোকানের মধ্যেই ধারালো অস্ত্রের কোপ এক তৃণমূল কর্মীকে। ঘটনাস্থানেই মৃত্যু হয় ব্যক্তির। পরে পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

মৃত ওই কর্মীর নাম জাহানদার শেখ। সন্ধেয় বাড়ি থেকে পাশের গ্রামে লক্ষ্মী গাছা বাস স্ট্যান্ডের কাছে একটি চায়ের দোকানে বসে চা খাচ্ছিলেন তিনি। জানা গিয়েছে, তখনই একদল দুষ্কৃতী পিছন থেকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে তাকে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির।

মৃত তৃণমূল কর্মীর বাড়ি চাপড়া থানার বৃত্তিহুদা গ্রামে। খবর পেয়ে এলাকায় পৌঁছায় চাপড়া থানার পুলিশ। মৃত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়। পরিবারের দাবি দশদিন আগে ওই তৃণমূল কর্মীকে খুন করার হতে পারে এমন সম্ভাবনার কথা তিনি নিজেই জানিয়েছিলেন চাপড়া থানার পুলিশকে। এরপর আজ প্রকাশ্যে চায়ের দোকানে থাকার সময় ওই ব্যক্তিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাতে থাকে দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনায় গোটা এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। বাজার এলাকার ভিতরে এক ব্যক্তিকে খুনের এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই সাধারণের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই জেলা থেকে চাঞ্চল্যকর খবর এসেছিল। নিয়মিত টাকার জন্য চাপ দিতেন তৃণমূল (TMC) পঞ্চায়েত প্রধান ও তাঁর স্বামী। এক অ্যাম্বুল্যান্স চালককে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে। মৃতের পাশ থেকে উদ্ধার হয় একটি সুইসাইড নোট। তা নিয়ে ওই তৃণমূল নেতৃত্বের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছেন মৃতের পরিবারের সদস্যরা।

স্থানীয় সূত্রে খবর, কালীনারায়ণপুর পাহাড় পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কামগাছি এলাকার বাসিন্দা উত্তম বিশ্বাস (৫০)। দীর্ঘ আট বছর ধরে কালীনারায়ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের একটি অ্যাম্বুল্যান্স চালাতেন তিনি। সাংসদের প্রদান করা ওই অ্যাম্বুল্যান্স চালিয়ে যা কমিশন পেতেন তা দিয়ে কোনওরকমে সংসার চলত তাঁর। অভিযোগ, বেশ কয়েক মাস ধরে তাঁর সেই কমিশন দেওয়া বন্ধ হয়ে যায় পঞ্চায়েতের নির্দেশে। উপরন্ত তাঁর কাছে টাকা চেয়ে বিভিন্ন সময়ে চাপ দেওয়া হত বলে তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধান দীপা দাস এবং তার স্বামী তৃণমূল কংগ্রেস নেতা জানকী দাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ। সেই টাকার চাপে ক্রমশ দিশাহারা হয়ে পড়ে ছিলেন উত্তম। এরপরই চরম এই সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি।

আরও পড়ুন: SSKM: চিকিৎসার নয়া দিগন্ত, সংক্রামক রোগের বহির্বিভাগ চালু এসএসকেএমে