ভিডিয়ো: মন্ত্রীর সামনেই ব্রহ্মর ‘ব্রহ্মাস্ত্র’: ‘পঞ্চায়েত ভোটে সিপিএম-বিজেপিকে ঘর থেকে বেরোতে দেব না’

TMC: ‘পঞ্চায়েত ভোটে সিপিএম-বিজেপিকে ঘর থেকে বেরোতে দেব না’, হুঁশিয়ারি তৃণমূলের ব্লক সভাপতির।

ভিডিয়ো: মন্ত্রীর সামনেই ব্রহ্মর ‘ব্রহ্মাস্ত্র’: ‘পঞ্চায়েত ভোটে সিপিএম-বিজেপিকে ঘর থেকে বেরোতে দেব না’
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 04, 2022 | 4:20 PM

চাপড়া: চাইছেন, শান্তিপূর্ণ ভোট। আর মুখে বলছেন, ভোটের দিন বিজেপি-সিপিএমকে (BJP-CPIM) ঘর থেকে বেরতে দেব না। তৃণমূল ব্লক সভাপতি এ হেন হুঁশিয়ারি শোনা গেল মন্ত্রীর সামনেই। যা নিয়ে নতুন করে চাপানউতোর তৈরি হয়েছে রাজ্য-রাজনীতিতে। ইতিমধ্যেই পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat election) হাওয়া গরম করতে ময়দানে শাসক-বিরোধী দলের বাঘা বাঘা নেতা-মন্ত্রীরা। শনিবারই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও শুভেন্দু অধিকারীর এক প্রস্থ দ্বৈরথ দেখেছে বঙ্গবাসী। এর মধ্যে ভোটের দিন বিরোধীদের ঘর থেকে না বেরনোর নিদান তৃণমূলের ব্লক সভাপতির। নদিয়ায় চাপড়ায় কর্মিসভায় দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে এমন নিদান দেন ব্লক সভাপতি সুখদেব ব্রহ্ম। যে সময় তিনি এ মন্তব্য করছেন তখন মঞ্চে উপস্থিত রাজ্যের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস। তাঁর এ মন্তব্য নিয়েই বিস্তর চাপানউতোর শুরু হয়ে গিয়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলে। ব্লক সভাপতি সরাসরি সন্ত্রাসের সঙ্গে যুক্ত। পাল্টা তোপ বিজেপির।

পঞ্চায়েত নির্বাচন উপলক্ষে শনিবার চাপড়ায় একটি কর্মী সম্মেলনে আয়োজন করে তৃণমূল কংগ্রেস। চাপড়া নতুন বাসস্ট্যান্ডে আয়োজন করা হয় এই সভার। তৃণমূলের কংগ্রেসের রাজনৈতিক সেই সভা  উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা। সেই মঞ্চে দাঁড়িয়ে সুখদেব ব্রহ্ম বলেন, “ভোট হবে ভয় মুক্ত পরিবেশে, শান্তিপূর্ণভাবে। সিপিএম-বিজেপি সহ অন্যান্য যাঁরা দল আছে তাঁদের বলব আপনারা ভোটে লড়ুন কোনও অসুবিধা নেই। ৩৬৪ দিন মানুষের কাজ করে ভোটে লড়ুন। তৃণমূল কংগ্রেস সারা বছর মানুষের পাশে থাকবে। আর আপনারা একদিন এসে ভোটের ময়দানে দাঁড়িয়ে চাপড়াকে অশান্ত করার চেষ্টা করবেন সেটা আমরা মানব না। বিজেপি-সিপিএম সহ সমস্ত দল শুনে রাখুন, ভোটের দিন আমরা তাঁদের ঘর থেকে বেরোতে দেব না। সেদিন শুধুমাত্র ময়দানে থাকবে তৃণমূল কংগ্রেস।” 

পাল্টা তোপ দেগেছে বামেরা। সিপিএমের চাপড়া এরিয়া কমিটির সম্পাদক জাহাঙ্গির বিশ্বাস বলেন, “এটা গণতন্ত্র বিরোধী মন্তব্য। আমরা দেখেছি ২০১৮ সালে যখন নির্বাচন হয়েছিল তখন ৫ দিন ধরে পুলিশ দিয়ে বিডিও অফিস ঘিরে রেখেছিল। মানুষকে তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে দেওয়া হয়নি। কিন্তু, এবার মানুষ সচেতন হয়েছেন। এবার মানুষ ভোট লুঠের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াচ্ছেন। তাতেই ভয় পেয়েছে তৃণমূল। সে কারণেই এ ধরনের মন্তব্য করছেন।” তোপ দেগেছে বিজেপিও। বিজেপির জেলা সম্পাদক প্রকাশ অধিকারী বলেন, “ উনি লোক দিয়ে ভারতীয় জনতা পার্টির দুজন কর্মীকে খুন করিয়েছে। ওর বাড়ি থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে এই দুটো ঘটনা ঘটেছে। আমি বলছি তৃণমূলর কংগ্রেস ব্লক সভাপতি সরাসরি সন্ত্রাসের সঙ্গে যুক্ত। বহু মানুষ ওর ভয়ে দীর্ঘদিন ঘরছাড়া ছিলেন।”