Snake Bite: নিজের জীবন বাঁচাতে কামড় দেওয়া বিষধর সাপকে ব্যাগে ভরে হাসপাতালে হাজির যুবক
সাপটিকে ব্যাগের ভিতর নিয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় যুবক কৃষ্ণগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালে চলে আসে।
কৃষ্ণগঞ্জ: রাস্তা দিয়ে আসার সময় কামড়েছিল সাপ। তা বুঝতেই পেরেই সেই সাপকে ব্যাগে ভরে ওই যুবক হাজির হন হাসপাতালে। সেখানে এলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা করেন চিকিৎসকরা। যার জেরে প্রাণে বেঁচেছেন ওই যুবক। তবে সাপকে ব্যাগে ভরে নিয়ে আসার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় হাসপাতালে। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালে। পরে অবশ্য ওই যুবককে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। জানা গিয়েছে, সাপের কামড় খাওয়া যুবকের নাম সুমন বিশ্বাস। তাঁর বয়স ৩০ বছর। বাড়ি নদিয়ার ভীমপুরের নিধিরপোতায়। জানা গিয়েছে, বিষধর সাপই কামড়েছিল তাঁকে।
সাপ নিয়ে হাসপাতালে হাজির রোগী। নিজের জীবন বাঁচাতে জ্যান্ত সাপ নিয়ে হাসপাতলে হাজির রোগী। ওই যুবকের প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, মাঠে কাজ করে বাড়ি ফেরার পথে ওই যুবকের পায়ে কামড়ে দেয় সাপটি। এলাকাবাসীরা গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে সেই সাপটিকে উদ্ধার করে। সাপটিকে ব্যাগের ভিতর নিয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই যুবক কৃষ্ণগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালে চলে আসে। কৃষ্ণগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসা বিষধর সাপটিকে দেখে চিহ্নিত করেন এবং ওই যুবককে অ্যান্টি ভেনম ইঞ্জেকশন দেন। এর পরও যুবকের অবস্থার অবনতি হওয়ায় কৃষ্ণগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে যুবককে স্থানান্তরিত করেন। সেখানেই বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।
গত বছর এ রকমই একটি ঘটনা ঘটেছিল মুর্শিদাবাদে। সে জেলার মহম্মদপুরের বাসিন্দা মংলু শেখকে সাপে কামড়েছিল। তিনিও সাপটিকে নিয়ে হাজির হয়েছিলেন জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে। সময় মতো হাসপাতালে আসায় প্রাণেও বাঁচেন তিনি। সাপের কামড়ে মৃত্যুর ঘটনা প্রায়শই ঘটে রাজ্যে। এ নিয়ে সচেতনতা প্রচারও চালানো হয়। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, সাপের কামড় খাওয়ার পর হাসপাতালে আসার পরিবর্তে ওঝার কাছে ছোটেন মানুষ। যার জেরে প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।