Gold Smuggling: জামার বোতামের ভিতরেও সোনা! কলকাতা বিমানবন্দরে হাতেনাতে ধরা পড়লেন ব্যাঙ্কক ফেরত ব্যক্তি
Kolkata Airport: জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির জামার বোতামের মধ্যে প্রায় ১০০ গ্রাম সোনা লোকানো ছিল। যার বাজার মূল্য প্রায় ৫ লক্ষ ৯৪ হাজার টাকা। সোনা কী উদ্দেশ্যে নিয়ে যাচ্ছিলেন তা জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে চান গোয়েন্দারা।
কলকাতা: সোনা পাচারের অভিনব কৌশলের সাক্ষী থাকল কলকাতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের শুল্ক দফতরের অফিসাররা। এক ব্যক্তি জামার বোতামের লুকিয়ে সোনা পাচারের চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। ব্যাঙ্কক থেকে কলকাতাগামী এয়ার এশিয়ার বিমানে করে কলকাতা বিমানবন্দরে নামেন এক ভারতীয়। তাঁর নাম রিতেশ কুমার। রবিবার রাতে কলকাতা বিমানবন্দের নেমেছিলেন তিনি। বিমানবন্দের নামার পর গ্রিন চ্যানেল পার হওয়ার সময় শুল্ক দফতরের গোয়েন্দা শাখার আধিকারিকরা তল্লাশি চালাচ্ছিলেন যাত্রীদের। পরিস্থিতি খারাপ দেখে সেখান থেকে পালানোর চেষ্টা করেন অভিযুক্ত। তখন তাঁকে আটক করেন শুল্ক দফতরের আধিকারিকরা। আটকের পর তল্লাশি চালানো হয়। সে সয়মই ওই ব্যক্তির জামার বোতামের মধ্যে থেকে সোনা উদ্ধার হয়।
জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির জামার বোতামের মধ্যে প্রায় ১০০ গ্রাম সোনা লোকানো ছিল। যার বাজার মূল্য প্রায় ৫ লক্ষ ৯৪ হাজার টাকা। সোনা কী উদ্দেশ্যে নিয়ে যাচ্ছিলেন তা জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে চান গোয়েন্দারা। সেই জিজ্ঞাসাবাদের পর ওই ব্যক্তিকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে উদ্ধার হওয়া সোনা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে শুল্ক দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।
রবিবার অপর এক ঘটনায় এক ব্রিটিশ নাগরকিকে আটক করেছিল কলকাতা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। ওই ব্রিটিশ নাগরিকের বিরুদ্ধে জিপিএস ট্র্যাকার নিয়ে বিমানবন্দরে ঢোকার অভিযোগ ছিল। রবিবার ওই ব্রিটিশ নাগরিক পোর্ট ব্লেয়ার থেকে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান করে কলকাতা আসেন। তারপর এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে করে দিল্লি যাওয়ার পথে লাগেজ চেকিংয়ের সময় তার হ্যান্ড ব্যাগেজে একটি সন্দেহজনক জিনিস দেখেন সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্সের কর্মীরা। তাকে আটক করে তার ব্যাগ চেক করে জার্মান জিপিএস ট্র্যাকার (মেড ইন তাইওয়ান) উদ্ধার হয়। এরপরই ওই ব্রিটিশ নাগরিককে তুলে দেওয়া হয় এনএসসিবিআই থানার পুলিশের হাতে। মূলত বৈধ অনুমতি ছাড়া জিপিএস ট্র্যাকার এবং স্যাটেলাইট ফোন বহন করা নিষিদ্ধ বিমানবন্দরে। নেতাজি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থানা ওই ব্রিটিশ নাগরিককে জিজ্ঞাসাবাদ করে পরবর্তী সময় ব্রিটিশ দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করে সমস্ত তথ্য অনুসন্ধান করা হয়। বৈধ অনুমতি পত্র মেলায় সোমবার ওই নাগরিককে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে পুলিশ সূত্র জানা গিয়েছে।