‘BJP-তে কাজ করা যায় না,’ প্রাক্তন যুব মোর্চার সভাপতি সহ ৫০০ নেতাকর্মী যোগ দিলেন তৃণমূলে

BJP To TMC: 'ওসব তৃণমূলের শেখানো কথা। একদল থেকে আরেক দলে গেলে এমন বলতে হয়।' পার্টি অফিস হাতছাড়া প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা যোগ করেন, "এটা তৃণমূলের কালচার। জোর করে আমাদের পার্টি অফিস দখল করেছে। পার্টি অফিসটি আমাদের ভাড়ার ছিল। অ্যাক্টিভ মেয়াদ শেষ হয়ে আসছে, অন্যদিকে খুনখারাপির ভয়ে আমরা প্রতিবাদ করিনি।''

'BJP-তে কাজ করা যায় না,' প্রাক্তন যুব মোর্চার সভাপতি সহ ৫০০ নেতাকর্মী যোগ দিলেন তৃণমূলে
ফের বিজেপি-তে ভাঙন গাইঘাটায়। নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 12, 2021 | 9:33 PM

উত্তর ২৪ পরগনা: উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তথা গাইঘাটা (Gaighata)-জুড়ে বিজেপি (BJP)-র ভাঙন অব্যাহত। এবার গাইঘাটা পঞ্চায়েত সদস্যা ও প্রাক্তন যুব মোর্চার সভাপতি সহ ৫০০ জন বিজেপি ছেড়ে যোগ দিলেন তৃণমূলে (TMC)। দলত্যাগীদের দাবি, বিজেপিতে কাজ করা যাচ্ছিল না এবং গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে বঙ্গ বিজেপি জর্জরিত।

একুশের ভোটেরপ আগে তৃণমূলে ভাঙন দেখা গিয়েছিল গাইঘাটায়। কিন্তু ভোটের ফলের পর এবং মুকুল রায় বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে আসার প্রেক্ষিতে উত্তর ২৪ পরগনা জুড়ে শুরু হয় বিজেপি-র ভাঙন। সেই ভাঙন এখনও অব্যাহত। ক্রমশ শক্তি বাড়াচ্ছে রাজ্যের শাসক দল।

রবিবার ফুলশড়া গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যা অনুশ্রী দাস সাহা ও চাঁদপাড়া বিজেপির যুব মোর্চার প্রাক্তন সভাপতি সহ ৫০০ জন কর্মী-সমর্থক বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেন। রবিবার বিকালে তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন তৃণমূল কংগ্রেসের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি আলোরানি সরকার ও গাইঘাটা পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য গোবিন্দ দাস। এদিনের এই যোগদান মেলায় উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল নেত্রী ইলা বাগচি, বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান শঙ্কর দত্ত-সহ বিভিন্ন নেতাকর্মী। আলো রানির দাবি, বিজেপি বিধায়ক থেকে নেতাকর্মী দলে দলে সবাই দল ছাড়ছেন। বিজেপি-তে কাজের পরিবেশ নেই। পরবর্তীতে আরও বিজেপি নেতা কর্মী তৃণমূলে আসছেন বলে দাবি করেন তিনি।

এদিকে তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নিয়ে দলত্যাগীদের দাবি, বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে দলে থেকে আর কাজ করা যাচ্ছিল না। ফলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের উন্নয়নের শরিক হতে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেছেন তাঁরা। এদিকে এই যোগদান অনুষ্ঠানের পর বিজেপির পার্টি অফিস দখল করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। যদিও সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল।

তাদের দাবি, এখানে যাঁরা বিজেপি ছিলেন সবাই এখন তৃণমূল হয়ে গিয়েছেন। ফলে পার্টি অফিস চালানোর মতো তাদের (বিজেপি-র) কেউ নেই। তৃণমূল পার্টি অফিস দখলের রাজনীতি করে না, বলে মন্তব্য এক নেতার।

এ দিকে কর্মীদের এই দলত্যাগের ঘটনায় বনগাঁ দক্ষিণের বিধায়ক স্বপন মজুমদারের প্রতিক্রিয়া, “সারা রাজ্যে তালিবানি শাসন চলছে তৃণমূলের পক্ষ থেকে। বিভিন্ন ভাবে ধমকানি-চমকানি, প্রশাসন দিয়ে ভয়-ভীতি দেখিয়ে আমাদের কার্যকর্তাদের নিয়েছে। বাঁচার তাগিদে তাঁরা গিয়েছেন। তবে তাঁরা যেখানেই থাক মনেপ্রাণে তো বিজেপি।”

পাশাপাশি, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফলে দলত্যাগ প্রসঙ্গে বিধায়কের পাল্টা দাবি, ‘ওসব তৃণমূলের শেখানো কথা। একদল থেকে আরেক দলে গেলে এমন বলতে হয়।’ পার্টি অফিস হাতছাড়া প্রসঙ্গে তিনি আরও যোগ করেন, “এটা তৃণমূলের কালচার। জোর করে আমাদের পার্টি অফিস দখল করেছে। পার্টি অফিসটি আমাদের ভাড়ার ছিল। অ্যাক্টিভ মেয়াদ শেষ হয়ে আসছে, অন্যদিকে খুনখারাপির ভয়ে আমরা প্রতিবাদ করিনি।”

আরও পড়ুন: দিনহাটায় বিজেপি কর্মীর মৃত্যুতে ৭ তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করল সিবিআই