Sandeshkhali: ‘আজ পর্যন্ত মেয়ের মুখটুকু খুঁজে পেলাম না’, চোখের জলই এখন সঙ্গী সন্দেশখালির মায়ের

Sandeshkhali: সন্দেশখালির ওই মা থানায় গিয়ে বলেছিলেন, 'স্যর, আমার মেয়েটার একটু খোঁজ করার জন্য কেসটা করেছি।' আর তারপর? যা শুনতে হল তাঁকে, কল্পনাও করতে পারবেন না। সন্দেশখালির ওই মহিলা জানালেন, 'থানায় আমাকে বলল, কে তোমাকে এখানে আসতে বলেছে? তোমার কাছে শিবু হাজরার লেখা কাগজ আছে? শাহজাহানের কাগজ আছে? যদি না থাকে তোমার এখানে কোনও কেস হবে না।'

Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 15, 2024 | 11:49 PM

কলকাতা: মেয়ে চলে গিয়েছে বাড়ি থেকে। পুলিশের কাছে বার বার দরবার করেও চোখের জল নিয়েই ফিরতে হয়েছে সন্দেশখালির মাকে। টিভি নাইন বাংলার ঠোঁটকাটা অনুষ্ঠানে নিজের জীবনের দুর্বিষহ পরিস্থিতির কথা জানালেন সন্দেশখালির এক মহিলা। জানালেন, মেয়েকে খুঁজে দেওয়ার জন্য পুলিশের কাছে বার বার ছুটে গিয়েছেন। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি। সন্দেশখালির ওই মা থানায় গিয়ে বলেছিলেন, ‘স্যর, আমার মেয়েটার একটু খোঁজ করার জন্য কেসটা করেছি।’ আর তারপর? যা শুনতে হল তাঁকে, কল্পনাও করতে পারবেন না। সন্দেশখালির ওই মহিলা জানালেন, ‘থানায় আমাকে বলল, কে তোমাকে এখানে আসতে বলেছে? তোমার কাছে শিবু হাজরার লেখা কাগজ আছে? শাহজাহানের কাগজ আছে? যদি না থাকে তোমার এখানে কোনও কেস হবে না।’

যে কোনও কারণেই হোক, মেয়ে বাড়ি থেকে চলে গিয়েছে। কিন্তু, তিনি যে মা। তিনি তো মেয়ের খোঁজার আপ্রাণ চেষ্টা করবেন। করেছেনও। কিন্তু সন্দেশখালি থানায় পুলিশের থেকে এতটুকুও সহযোগিতা পাননি বলে ক্ষোভ উগরে দিলেন। বললেন, ‘আমি তো মা। তাকে খোঁজার দায়িত্ব তো আমার। আমি আইনের কাছে দ্বারস্থ হচ্ছি, কিন্তু আইন আমার কোনও কথাই শুনছে না। আমাকে ঘাড় ধরে দূর দূর করে বের করে দিচ্ছে।’

কথাগুলো বলতে বলতে বুকের মধ্যে জমাট বেঁধে থাকা কান্না চেপে রাখতে পারলেন না সন্দেশখালির মা। মেয়েকে খুঁজে না পাওয়ার যন্ত্রণায় কাঁদতে কাঁদতে বললেন, ‘আজ পর্যন্ত আমি আমার মেয়ের মুখটুকু খুঁজে পেলাম না। আইন তো আমার কোনও ব্যবস্থাই করল না। জন্ম দিয়ে বড় করেছি। কোন মা তাঁর মেয়েকে ভুলে যেতে পারে?’

কিন্তু এই এলাকা যে শাহজাহানের এলাকা। থানায় নাকি শিবু-শাহজাহানদের সুপারিশ ছাড়া আর টাকা ছাড়া কোনও কাজই হয় না, দাবি ওই মহিলার। সন্দেশখালিতে প্রায় বছর পনরো ধরে রয়েছেন তিনি। সেখানে দিনযাপনের ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির কথা বলতে গিয়ে বার বার গলা ধরে আসল তাঁর। থানার অভিজ্ঞতার কথা শোনাতে গিয়ে বললেন, ‘আমাকে ঘাড় ধরে বের করে দিল। আমাকে বলল, ১০ হাজার টাকা লাগবে। বেরিয়ে যাও এখান থেকে। এখানে কোনও কাগজ হবে না।’

পুলিশের উপর জমে থাকা সব রাগ যেন বেরিয়ে এল আজ। বললেন, ‘পুলিশ এত বড় বেইমান, টাকা ছাড়া কাজ করবে না। এত কুঁড়ে সন্দেশখালির পুলিশ, শুধু শুয়ে-বসে খেতে চায়। আর শিবু-উত্তম-শাহজাহানের পিছনে লেজ নাড়তেই ব্যস্ত, যেন পোষা কুকুর।’