Habra Bomb Blast: হাবড়ায় কৌটো বোমা ফেটে গুরুত জখম বৃদ্ধা
Habra Bomb Blast: খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। এলাকায় তল্লাশি চালান তদন্তকারীরা। প্রাথমিক তদন্তে জানা যাচ্ছে, গীতা মজুমদারের ছেলে প্রবীর মজুমদার এই কৌটো বোমাটি মজুত করে রেখেছিলেন।
উত্তর ২৪ পরগনা: রাতে বাথরুমে গিয়েছিলেন। সেসময় বাথরুমের পাশেই পড়ে ছিল কৌটোটি। বুঝতে পারেননি বছর ষাটেকের বৃদ্ধা। পা লেগে যায় কৌটোটিতে। আচমকাই বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। বাড়ির সদস্যরা বেরিয়ে দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় কাতরাচ্ছেন মহিলা। কৌটো বোমা ফেটে গুরুতর আহত বছর ষাটেকের এক বৃদ্ধা। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হাবড়ায় ১২ নম্বর ওয়ার্ড নগরথুবা পদ্মার পাড় এলাকায়। বছর ষাটেকের গীতা মজুমদার বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাত দশটা নাগাদ বাথরুমের পাশে থাকা একটি কৌটোয় পা লেগে যায় গীতার। বোমাটি ফেটে যায়। গুরুতর জখম হন গীতা মজুমদার। তড়িঘড়ি স্থানীয় বাসিন্দারাই তাঁকে প্রথমে হাবড়া হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। এলাকায় তল্লাশি চালান তদন্তকারীরা। প্রাথমিক তদন্তে জানা যাচ্ছে, গীতা মজুমদারের ছেলে প্রবীর মজুমদার এই কৌটো বোমাটি মজুত করে রেখেছিলেন। কয়েকদিন আগে হাবরা শ্রীনগর এলাকায় তৃণমূল কর্মীর ওপর বোমাবাজি ও গুলির ঘটনায় জড়িত রয়েছেন এই প্রবীর। তেমনও অভিযোগ পুলিশের খাতায় রয়েছে।
হাবরা থানা পুলিশ প্রবীরকে গ্রেফতার করে। বাড়িতে প্রবীরের স্ত্রী ও তাঁর মা ছিলেন। শনিবার রাতে হঠাৎই কৌটো বোমাটি ফেটে যায়। তাতেই গুরুতর আহত হন গীতা মজুমদার। পুলিশ বাড়িতে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে। এলাকায় সেভাবে পরিচিত নন প্রবীর। তবে জানা যাচ্ছে গেঞ্জির কারখানায় কাজ করতেন প্রবীর। তাঁকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।