Barrackpore Crime: মালিকের ছেলের বউয়ের সঙ্গে ঝামেলা, বারাকপুরে বিরিয়ানির দোকানে গুলি কাণ্ডে নয়া তথ্য
Barrackpore Crime: সোমবার দুপুরে ব্যারাকপুরের প্রসিদ্ধ ওই বিরিয়ানির দোকানে গুলি। গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন দোকানের দুই কর্মী। তাঁদের এক জন হলেন প্রদীপ সিংহ। কিন্তু সেদিনের ঘটনায় প্রাণহানি পর্যন্ত ঘটতে পারত তাঁকে।
ব্যারাকপুর: বিরিয়ানির দোকানে গুলি চালনার ঘটনায় উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। এই ঘটনায় আরও এক জনকে আটক করেছে পুলিশ। সত্যজিৎ নট্ট নামে ওই ব্যক্তিকে জেরা করে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। তিন বছর আগে সত্যজিৎ নাট্য বিরিয়ানির দোকানের মালিক বাপি দাসের ছেলের বউয়ের থেকে টাকা ধার নেয় এবং সেই ধার নেওয়ার পর থেকেই গণ্ডগোলের সূত্রপাত। এই সত্যজিৎ নট্ট বাপি দাসের বাড়িতে ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। বারাকপুর কুন্ডু বাড়ির মোড়ে সত্যজিৎ নট্টর বন্ধুরা বিরিয়ানির দোকান দিয়েছিল। কিন্তু সেই দোকানের বিক্রিবাট্টা তেমন ভাল ছিল না। প্রসিদ্ধ বিরিয়ানির দোকানে বিক্রি বেশি হওয়াতেই সত্যজিতের বন্ধুদের দোকানে বিক্রি ভাল হত না। তাতেই মনে ক্ষোভ জন্মাতে থাকে। তার জেরেই এই ঘটনা কিনা, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মোহনপুর থানার পুলিশ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
সোমবার দুপুরে ব্যারাকপুরের প্রসিদ্ধ ওই বিরিয়ানির দোকানে গুলি। গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন দোকানের দুই কর্মী। তাঁদের এক জন হলেন প্রদীপ সিংহ। সেদিনের ঘটনায় প্রাণহানি পর্যন্ত ঘটতে পারত তাঁর। বুলেট ফুঁড়ে যেত তাঁর বুক। কিন্তু তাঁকে বাঁচিয়ে দিয়েছিল একটি মার্কার পেন। ওই মার্কার পেনটি দিয়েই তিনি বিরিয়ানির বাক্সের গায়ে ‘চিকেন’, ‘মটন’ লিখছিলেন। শেষ বাক্সটি লেখার পর পেন গুঁজেছিলেন জামার বুক পকেটে। প্রত্যক্ষদর্শীদের কথা অনুযায়ী, তখনই দুষ্কৃতীরা বাইকে এসে এলোপাথাড়ি গুলি চালায়। একটি গুলি তাঁর বুকে এসে লাগে। মার্কার পেনে বুলেটটি লেগে পাজরে ছুঁয়ে বেরিয়ে যায়। প্রাণে বেঁচে যান প্রদীপ।
মার্কার পেনটি এখনও দোকানের ড্রয়ারে রাখা। বুলেটের আঘাতে মার্কারটির গায়ে ক্ষতও তৈরি হয়েছে। গুলি চালানোর ঘটনায় ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছেন স্থানীয় মোহনপুর থানার ওসি উত্তমকুমার সরকার। তবে এখনও আসল অপরাধী অধরা। শুটারদের খোঁজে ব্যারাকপুর, টিটাগড়, বারাসত, মধ্যমগ্রাম-সহ একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। ব্যক্তিগত আক্রোশ না তোলাবাজির টাকা না দেওয়ায় গুলি, সেটার তদন্তে মোহনপুর থানার পুলিশ। যদিও অপরাধীরা ধরা না পরায় আতঙ্কিত ব্যবসায়ী এবং তাঁর পরিবার।