Bhatpara Bombing: ভাটপাড়ায় ফের বোমাবাজি, আতঙ্কিত এলাকাবাসীরা

Bhatpara Bombing: কেন বোমাবাজি, সেই কারণ স্পষ্ট নয়। জগদ্দল থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

Bhatpara Bombing: ভাটপাড়ায় ফের বোমাবাজি, আতঙ্কিত এলাকাবাসীরা
ভাটপাড়ায় বোমাবাজি (নিজস্ব চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 29, 2022 | 9:24 AM

উত্তর ২৪ পরগনা: মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশের পর রাজ্য জুড়ে চলছে আগ্নেয়াস্ত্র ও বোমা উদ্ধারের অভিযান। তারই মধ্যে আবারও উত্তপ্ত ভাটপাড়া। মঙ্গলবার সাতসকালে ভাটপাড়ায় ফের বোমাবাজি। আতঙ্কিত এলাকাবাসীরা। ভাটপাড়ায় দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য নিয়ে একাধিক অভিযোগ উঠেছে। অন্তত বগটুইয়ের ঘটনার পর মুখ্য়মন্ত্রী যেভাবে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে তৎপর, তাতে অন্তত ভাটপাড়ার ঘটনা আরও একবার প্রশ্ন তুলল। ভাটপাড়ার আটচালা বাগানে সোমবার রাত থেকেই দুস্কৃতীরা বোমাবাজি শুরু করে। তাতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এলাকাবাসীরা। কেন বোমাবাজি, সেই কারণ স্পষ্ট নয়। জগদ্দল থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। দুস্কৃতীরা পরপর বাইকে চেপে দুটি বোমাবাজি করে পালিয়ে যায়। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর ও এখনও কোথা থেকে বোমা পাচ্ছে,তাই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। প্রসঙ্গত কয়েকদিন ধরেই পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া থেকে ৩৪ কেজি বারুদ উদ্ধার হয়।

কয়েকদিন ধরে রাজ্য জুড়ে চলছে পুলিশের বিশেষ অভিযান। সেই কারণে পুলিশের সব শীর্ষ কর্তাদের ছুটি বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য।  রাজ্যের সব জেলার পুলিশ সুপার ও পুলিশ কমিশনারদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে আগামী ১০ দিনের জন্য। রাজ্যে কোথায় কোথায় বোমা বা বেআইনি অস্ত্র রাখা আছে, সেই তল্লাশি চালানো হবে। যে সব থানায় এই সব অভিযোগ বেশি আসে, সেই থানাগুলির আইসিদের কাছ থেকে রিপোর্ট নিতে হবে পুলিশ কর্তাদের। সেই রিপোর্ট নবান্নে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

রাজ্যের সমস্ত জেলায় যত বোমা-বন্দুক-গুলি আছে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে উদ্ধার করে নষ্ট করতে হবে, ডিজিকে নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর থেকেই রাজ্য জুড়ে চলছে তল্লাশি।

সেদিনই রাতারাতি বীরভূমে উদ্ধার হয় বোমা। প্রায় ২০০ টি তাজা বোমা উদ্ধার হয় বীরভূমের মাড়গ্রাম থেকে। বর্ধমানের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়েও বোমা উদ্ধার হয়। বিভিন্ন জায়গায় উদ্ধার হয় অস্ত্র।

রাজ্যের অস্ত্র ভাণ্ডার নিয়ে সরব বিরোধীরাও। মুখ্য়মন্ত্রীকে বিঁধেছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। তিনি বলেছেন, “ভাঙড়ের সময়ে বলেছিলেন না, ওরা হচ্ছে আমাদের দলের সম্পদ। যে সকাল পর্যন্ত দলের সম্পদ ছিল, সে আপদ হল কী করে? বাংলায় কীভাবে এত অস্ত্র আসছে? তৃণমূল নেতা খুন হলেই ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা। ”

আরও পড়ুন: Bagtui Massacre: ‘লাশ গায়েব করে দেওয়া হবে না তো!’, আশঙ্কায় কেঁদে ফেললেন নাজেমার স্বামী