SSC Recruitment Case: টাকার বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ, বাগদার সেই ‘রঞ্জনের’ বাড়িতেও এবার ইডি
Chandan Mondal: উপেন বিশ্বাসের ফেসবুক পোস্ট থেকেই এই অভিযোগ প্রথম সামনে আসে। পরে জানা যায়, রঞ্জন আসলে বাগদার চন্দন মণ্ডল।
বাগদা: রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য সামনে এসেছে। সামনে এসেছে নেতা-মন্ত্রী সহ অনেক প্রভাবশালীর নাম। তাঁদের মধ্যে অনেকেরই ডাক পড়েছে সিবিআই দফতরে। আর শুক্রবার সাত সকালে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে অন্তত ১০ টি জায়গায় পৌঁছে গেলে ইডি আধিকারিকরা। পার্থ চট্টোপাধ্যায়, পরেশ অধিকারীর পাশাপাশি এ দিন বাগদার চন্দন মণ্ডলের বাড়িতেও পৌঁছে গিয়েছে ইডি। উত্তর ২৪ পরগনার ওই ব্যক্তি টাকা নিয়ে চাকরি দিতেন বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রাক্তন মন্ত্রী উপেন বিশ্বাস সোশ্যাল মিডিয়ায় রঞ্জন নাম দিয়ে এই অভিযোগ সামনে এনেছিলেন। পরে জানা যায় ওই রঞ্জনই আসলে চন্দন মণ্ডল।
শুক্রবারই হাইকোর্টে রয়েছে এসএসসি মামলার শুনানি। এ দিন চন্দন মণ্ডলকে সশরীরে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তার আগেই চন্দনের বাড়িতে পৌঁছে গেল ইডি।
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের সম্পত্তির হিসেব সংক্রান্ত একটি মামলায় ‘রঞ্জনে’কে ডেকে পাঠিয়েছে আদালত। সিবিআইয়ের প্রাক্তন কর্তা তথা প্রাক্তন মন্ত্রী উপেন বিশ্বাস প্রথম ‘রঞ্জন’-এর কথা বলেছিলেন। আদালতে এসেও সে কথা বলেছিলেন তিনি। ‘রঞ্জন’-এর আসল পরিচয়ও জানিয়েছিলেন। তখনই জানা যায়, ‘রঞ্জন’ আসলে চন্দন মণ্ডল। উপেন বিশ্বাস বলেছিলেন, ‘আমি শপথ নিয়ে বলছি, রঞ্জন আসলে চন্দন মণ্ডল ছিল।’
দুর্নীতির মামলা সামনে আসার পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেছিলেন উপেন বিশ্বাস। সেখানে তিনি দাবি করেছিলেন ‘রঞ্জন’ নামে এক ব্যক্তি যিনি সৎ। তিনি টাকা নিয়ে চাকরি দেন, আবার চাকরি না হলে টাকা ফেরতও দেন। জানা যায়, বছর কয়েক আগে সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন এই চন্দন। তারপরই থেকেই নাকি চন্দনের সম্পত্তি বাড়তে শুরু করে।