Job Seeker Death: বেকারত্বের জ্বালা নিয়ে মরেছে ছেলে, সরকারি সাহায্যের কাতর আর্তি ক্যান্সার আক্রান্ত বাবার
Basirhat: রাজুর উপরে অনেকটাই নির্ভরশীল ছিলেন তাঁরা। এখন কীভাবে চলবে তাঁদের? পুত্রশোকে বিহ্বল পরিবার চাইছে, যাতে কোনওরকম সরকারি সাহায্য পাওয়া যায়।
বসিরহাট: চাকরি মেলেনি। বেকারত্বের জ্বালা নিয়ে শুক্রবার রাতেই ‘আত্মঘাতী’ হয়েছে বাদুড়িয়ার রাজু গাজী। বাদুড়িয়ার চাতরা গ্রাম পঞ্চায়েতের পাপিলা গ্রামে বাড়ি রাজুর। পরিবারের একমাত্র ছেলে ছিল রাজু। বাবা ইসরাইল গাজী ক্যান্সারে আক্রান্ত। আগে গ্রামে চাষবাস করে সংসার টানতেন রাজুর বাবাই। কিন্তু তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে সেটিও করতে পারছেন না। এখন পরিবারের একমাত্র সম্বল ছিলেন রাজু। সন্তান হারানোর জ্বালা তো রয়েছেই, সেই সঙ্গে পরিবারও এখন অথৈজলে। রাজুর উপরে অনেকটাই নির্ভরশীল ছিলেন তাঁরা। এখন কীভাবে চলবে তাঁদের? পুত্রশোকে বিহ্বল পরিবার চাইছে, যাতে কোনওরকম সরকারি সাহায্য পাওয়া যায়।
এলাকায় সবাই রাজুকে বেশ ভাল ছেলে বলেই চিনতেন। চাতরা গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য শুভ্রা মল্লিকের রবীন মল্লিক জানান, “বরাবরই ভাল ছেলে হিসেবে পরিচিত ছিলেন রাজু। তাঁর চলে যাওয়াতে গোটা গ্রাম শোকাহত।” রাজু গাজীর পরিবারে পাশে সমস্ত রকমভাবে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। এদিকে একমাত্র সম্বল রাজুকে এভাবে হারানোটা একেবারেই মেনে নিতে পারছেন না পরিবারের লোকেরা। রাজুর এভাবে হঠাৎ করে চলে যাওয়াতে একেবারে ভেঙে পড়েছেন তাঁৎ বাবা-মা।
একেবারে দরিদ্র পরিবার। মাঠে কাজ করে কোনওরকমে সংসার চলে। এখন ক্যান্সার ধরা পড়ার পর, চিকিৎসারত ইসরাইল বাবু আর সেভাবে মাঠে যেতে পারেন না। রাজুর বাবা বলছেন, “কী করব কিছু বুঝতে পারছি না। অবস্থা খুব খারাপ। সরকার যদি আমাদের পাশে দাঁড়ায়, যদি একটু আর্থিক সুবিধা দেয়, তাহলে আমরা একটু উপকৃত হব।” ইসরাইল বাবুর স্ত্রীর শারীরিক অবস্থাও খুব একটা ভাল নয়। শরীর আগে থেকেই খারাপ ছিল। রাজুর মৃত্যুর পর তাঁর শরীর আরও ভেঙে পড়েছে। এদিকে ইসরাইল বাবুর ক্যান্সারের চিকিৎসার খরচও তো অনেক। এখন রাজুর পরিবার চায়, সরকার একটু মুখ তুলে তাকাক, তাঁদের দিকে। নাহলে কীভাবে কী চলবে তাঁদের, তা ভেবেই কূল কিনারা পাচ্ছেন না সন্তানহারা ইসরাইল গাজি।