Basirhat: ব্যাঙ্কের বই আপডেট করার নাম করে বেরিয়েছিল দুই বান্ধবী, পরে এমন কাণ্ড ঘটাবে কে ভেবেছিল!
Basirhat: কিন্তু রাত পোহালেও বাড়ির মেয়েরা ঘরে না ফেরায় থানায় নিখোঁজ ডায়রি করেন পরিবারের সকলে। এর কেটে যায় সাত-সাতটি দিন। পরে পুলিশের তৎপরতায় উদ্ধার হয় দুই কিশোরী।
বসিরহাট: একজন পড়ে অষ্টম শ্রেণিতে। অপরজন পড়ে দশম শ্রেণিতে। দুই কিশোরী ছোট থেকে একের অপরের বন্ধু হিসেবে এলাকায় পরিচিত। এরপর গত মঙ্গলবার তারা দু’জনই ব্যাঙ্কের বই আপডেট করার নাম করে বাড়িতে থেকে বের হয়। তবে অনেকটা সময় কেটে যাওয়ার পরও বাড়িতে ফেরেনি কেউই। তখনই সন্দেহ হয় সকলের। কিন্তু রাত পোহালেও বাড়ির মেয়েরা ঘরে না ফেরায় থানায় নিখোঁজ ডায়রি করেন পরিবারের সকলে। এর কেটে যায় সাত-সাতটি দিন। পরে পুলিশের তৎপরতায় উদ্ধার হয় দুই কিশোরী।
উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের হাসনাবাদ থানা এলাকার ঘটনা। সেখানে দশম শ্রেণীর ছাত্রী ও অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী নিখোঁজ হন। এরা দু’জন ছোটবেলা থেকে একে অপরের বান্ধবী। গত মঙ্গলবার অর্থাৎ ৬ই সেপ্টেম্বর বেলা ১১টায় হাসনাবাদের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কে বই আপডেট করার নাম করে বাড়ি থেকে বের হয় ওই দুই বান্ধবী। তারপর থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় দু’জনই।
পরে বাড়ির লোক খোঁজখবর নেওয়ার পর ৭ই সেপ্টেম্বর হাসনাবাদ থানায় ওই দুই ছাত্রীর পরিবার ডায়েরি করে। তারপর হাসনাবাদ থানার পুলিশ বিভিন্ন থানা এলাকায় তাদের ছবি পাঠিয়ে সন্ধান পাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছিল। অবশেষে সাতদিন নিখোঁজ থাকার পর দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার ডায়মন্ড হারবারের কুলপি থেকে দুই জেলার পুলিশের যৌথ উদ্যোগে এই দুই নাবালিকাকে উদ্ধার করা হয়।
পাশাপাশি এই দুই নাবালিকার সঙ্গে দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার বাসিন্দা এক যুবককেও আটক করা হয়েছে। দুই ছাত্রীর শারীরিক পরীক্ষার পর তারা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে গোপন জবানবন্দি দেবেন। যুবককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। জানতে চাওয়া হচ্ছে এই যুবকের সঙ্গে দুই নাবালিকার কোনও সম্পর্ক ছিল বা আন্তর্জাতিক নারী পাচার চক্রের কোনও যোগ আছে কি না, তাও তদন্তে রাখছে পুলিশ।
নিখোঁজ হওয়া নাবালিকাদের মধ্যে একজনের মায়ের বক্তব্য, ‘আমার মেয়েকে ফিরে পেয়েছি তার জন্য পুলিশকে অসংখ্য ধন্যবাদ। ওদের দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে খুঁজে পাই আমরা। মেয়ের সঙ্গে ওর বান্ধবীও ছিল। আরও এক যুবককে পাকড়াও করেছে পুলিশ।’