Khardaha By Election 2021: বিজেপি প্রার্থী জয় সাহাকে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান, রিপোর্ট তলব নির্বাচন কমিশনের
Khardaha By Election 2021: খড়দার বিজেপি প্রার্থী জয় সাহা বলেন, "শুধু রিপোর্ট তলব করলেই চলবে না। নির্বাচন কমিশনকে ব্যবস্থাও নিতে হবে। বুথের বাইরে বেআইনি জমায়েতকারীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে হবে।"
খড়দা: খড়দায় বিজেপি প্রার্থী জয় সাহাকে গো ব্যাক স্লোগান দেওশয়ার ঘটনায় এবার রিপোর্ট তলব করল নির্বাচন কমিশন। ভোট পর্ব শুরু হতেই বিজেপির প্রাথী’ জয় সাহাকে খড়দহের যুগবেড়িয়ায় ১৯৪ নং বুথে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দেওয়া হয়। সেই ঘটনায় রিপোর্ট চাইল নির্বাচন কমিশন।
এ প্রসঙ্গে খড়দার বিজেপি প্রার্থী জয় সাহা বলেন, “শুধু রিপোর্ট তলব করলেই চলবে না। নির্বাচন কমিশনকে ব্যবস্থাও নিতে হবে। বুথের বাইরে বেআইনি জমায়েতকারীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে হবে।”
খড়দহ বিধানসভা কেন্দ্রের ১৯২ নম্বর বুথের বিজেপি প্রার্থীকে ঘিরে স্লোগান দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ভোটারদের প্রভাবিত করা হচ্ছে, ভয় দেখানো হচ্ছে বলে অভিযোগ জানিয়েছেন খড়দহ কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী জয় সাহা। শনিবার সকালে ১৯২ নম্বর বুথে ভোট শুরুর সময়ই জয় সাহাকে ঘিরে গো ব্যাক স্লোগান দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। এ দিকে তৃণমূলের পাল্টা অভিযোগ, দলীয় প্রতীক লাগানো গাড়ি নিয়ে ঘুরছেন বিজেপি প্রার্থী। তৃণমূলের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হবে বলেও জানিয়েছে বিজেপি। ভোটের আগে থেকেই দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়েছে খড়দা। জয় সাহার ওপরেও আগে হামলা হয় বলে অভিযোগ।
উল্লেখ্য, নির্বাচনের আগে থেকেই জয় সাহা নানা ভাবে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছিলেন। তাঁর মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার আগের রাতেই দলীয় কর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ তোলেন তিনি। ফ্লেক্স, পতাকা, ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলা হয় বলে অভিযোগ করেন। উপ নির্বাচনের ঠিক আগের রাতেই বিজেপির আরেক দলীয় কর্মীর ওপর হামলা করা হয় বলে অভিযোগ করেন। রাস্তায় ফেলে তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
ঘটনায় রহড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন জয় সাহা। পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তারও অভিযোগ তোলেন তিনি। এদিকে, উপনির্বাচনের দিন সকালে খড়দার কল্যাণনগর বিদ্যাপীঠ বুথে সকালে ঢুকতে যান তৃণমূল প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। অভিযোগ, তাঁকে বুথে ঢুকতে বাধা দেয় কেন্দ্রীয় বাহিনী। কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। পরে তাঁকে বুথে ঢুকতে দেওয়া হয়।
শোভনদেববাবুর অভিযোগ, প্রার্থীর নাম লেখা ব্যাজ পড়ে এজেন্টকে বসতে বাধা দেওয়া হয়েছে বুথে। তা শুনেই তিনি বুথে এসেছিলেন। তাঁকেও বুথে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। পাশাপাশি ভোটারদের ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ় দেখতে চাওয়া হয়েছে বুথে। ভোট দিতে আসা ব্যক্তিকে কেন দ্বিতীয় ডোজ়ের সার্টিফিকেট দেখাতে হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন শোভনবাবু।
আরও পড়ুন: ডবল ডোজ় না থাকলে ভোটারদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না! কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে বচসা শোভনদেবের