Matua: ‘ক্ষমা না চাইলে বড় আন্দোলন’, গুরুচাঁদ ঠাকুরের নাম-বিভ্রাটে মুখ্যমন্ত্রীকে হুঁশিয়ারি মতুয়াদের একাংশের

Matua: শ্যামনগর বাসুদেব পুর মোড়ে ডঙ্কা বাজিয়ে প্রতিবাদে নামেন তাঁরা।

Matua: 'ক্ষমা না চাইলে বড় আন্দোলন', গুরুচাঁদ ঠাকুরের নাম-বিভ্রাটে মুখ্যমন্ত্রীকে হুঁশিয়ারি মতুয়াদের একাংশের
পথে মতুয়ারা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 05, 2023 | 2:27 PM

উত্তর ২৪ পরগনা: গুরুচাঁদ ঠাকুরের নামের ভুল না শুধরালে, দেশ জুড়ে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন। উত্তর ২৪ পরগনার শ্যামনগরে হুঁশিয়ারি দিলেন মতুয়া সম্প্রদায়ের একাংশ। শ্যামনগর বাসুদেব পুর মোড়ে ডঙ্কা বাজিয়ে প্রতিবাদে নামেন তাঁরা। অবিলম্বে মুখ্যমন্ত্রী এই বিষয়ে ক্ষমা না চাইলে, তাঁরা আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলনে যাবেন বলে হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তাঁরা। এ প্রসঙ্গ মতুয়াদের দলপতি হৃদয় সেন বলেন, “আরাধ্য উপাসকের নাম ভুল উচ্চারণ করেছেন আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। আবেদন করছি, যেন ভুল সংশোধন করে নেওয়া হয়। আমরা এর প্রতিবাদ করছি। যদি না করেন, তাহলে আরও বড় আন্দোলনে যাব।” দলপতি হৃদয় সেন বলেন, “ওঁ তো একসময়ে ঠাকুরবাড়িতে বহু এসেছেন। বড়মার আর্শীবাদ নিয়ে অনেক কিছু করেছেন। একজন মানুষ ভুল উচ্চারণ করতেই পারেন। কথা বলতে গেলে অনেক কিছুই ভুল হয়ে যায়। আমরা ভেবেছিলাম ভুল সংশোধন করে নেবেন। কিন্তু সেটা তো হল না। তাই এই প্রতিবাদ।”

গত সপ্তাহে মালদার গাজোলে একটি সভা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি মতুয়াদের আরাধ্য হরিচাঁদ ও গুরুচাঁদ ঠাকুরের নাম উল্লেখ করেছিলেন। অভিযোগ ওঠে সেই নাম ভুল উচ্চারণ করেছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সাত দিনের মধ্যে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার কথা বলে মতুয়া সম্প্রদায়ের একাংশ।

দুদিন আগেই কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের বক্তব্য, “শুধুমাত্র একটা সম্প্রদায়ের মানুষকে খুশি করার জন্য, ভোট ব্যাঙ্কের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মালদার গাজোলে দাঁড়িয়ে হরিচাঁদ ও গুরুচাঁদ ঠাকুরের নাম বিকৃত উচ্চারণ করেছেন। তার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে ক্ষমা চাইতে হবে।” এর সঙ্গে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সংযোজন, মালদায় গিয়ে ক্ষমা চাইতে হবে মুখ্যমন্ত্রীকে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার বক্তব্য, “গুরুচাঁদ নাম বিকৃত করে মতুয়া ও নমঃশুদ্র সমাজকে অপমান করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মতুয়া সমাজকে মন থেকে সম্মান করেননি, কেবল ভোট ব্যাঙ্ক ভেবেছেন।”