নম্র স্বভাব, কাজের ছেলে, হেল্পফুলও! কর্মচারীকে বাড়িতে আশ্রয় দেন মালিক, দুঃসাহসিক পরিণতি

Basirhat: অভিযোগের ভিত্তিতে চন্দন মাইতির ফোনের টাওয়ার লোকেশন ট্র‍্যাক করে হরিয়ানা পুলিশ জানতে পারে অভিযুক্ত বসিরহাটে আশ্রয় নিয়েছেন।

নম্র স্বভাব, কাজের ছেলে, হেল্পফুলও! কর্মচারীকে বাড়িতে আশ্রয় দেন মালিক, দুঃসাহসিক পরিণতি
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 25, 2021 | 10:22 AM

বসিরহাট: ভালো কাজ করতে, নম্র স্বভাবের, মালিকের বিশ্বাস দ্রুত অর্জন করেছিলেন যুবক। নিজের বাড়িতে থাকতে দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই বিশ্বাস অর্জন করেই মালিকের ঘরে কার্যত সিঁধ কাটলেন যুবক! স্বর্ণকারের বাড়ি থেকে ৭৫ লক্ষ নগদ টাকা, ৬০০ গ্রাম সোনার গয়না-সহ কোটি টাকার জিনিস নিয়ে চম্পট যুবকের। অতঃপর শ্রীঘরে। বসিরহাটের ধলতিথা থেকে চন্দন মাইতি নামে ওই যুবককে গ্রেফতার করল হরিয়ানা ও বসিরহাট থানার পুলিশ। তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে নগদ ৭৫ হাজার টাকা ও ৬০০ গ্রাম সোনা।

হরিয়ানার বিলাসপুরে কর্মরত ব্যবসায়ী সমরেশ বেড়ার বাড়িতে কাজ করতেন পশ্চিম মেদিনীপুরের বাসিন্দা চন্দন মাইতি। পশ্চিম মেদিনীপুরে মালিক ও কর্মচারী একই জায়গায় থাকার সুবাদে দীর্ঘদিনের পরিচয় ছিল। সেই সূত্রে বিলাসপুরেও কাজ করতে যান চন্দন মাইতি। ওই ব্যবসায়ীর বিলাসপুরে বাড়ি ও দোকান রয়েছে।

সমরেশের বয়ান অনুযায়ী, চন্দন বেপাত্তা। তাঁর ঘর ও দোকান থেকে খোওয়া গিয়েছে নগদ ৭৫ লক্ষ টাকা। নেই ৬০০ গ্রাম সোনার গয়নাও। থানায় অভিযোগ দায়ের করেন সমরেশ। তদন্তে নামে পুলিশ। দেখা যায়, চন্দন বসিরহাটের ধলতিথায় নাম ও পরিচয় গোপন করে রয়েছেন।

বিলাসপুর থানায় অভিযোগ করেছিলেন সমরেশ। অভিযোগের ভিত্তিতে চন্দন মাইতির ফোনের টাওয়ার লোকেশন ট্র‍্যাক করে হরিয়ানা পুলিশ জানতে পারে অভিযুক্ত বসিরহাটে আশ্রয় নিয়েছেন। হরিয়ানা পুলিশ এই বিষয়ে বসিরহাট পুলিশকে বিস্তারিত জানায়।

মঙ্গলবার গভীর রাতে বসিরহাট থানার আইসি সুরিন্দর সিংয়ের নেতৃত্বে হরিয়ানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে অভিযান চালায়। চন্দন মাইতিকে গ্রেফতার করা হয়। উদ্ধার হয়েছে খোওয়া যাওয়া টাকা ও সোনার গয়না। ধৃত চন্দনকে বসিরহাট মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়। হরিয়ানা পুলিশ তাঁকে ট্রানজিট রিমান্ডে নিয়ে যাওয়ার আবেদন জানিয়েছে বিচারকের কাছে। পুলিশ জানিয়েছে, হরিয়ানা পুলিশ সূত্রে খবর আসে। বসিরহাটের একটি এক তলা বাড়িতে নিজের নাম পরিচয় গোপন করে ছিলেন অভিযুক্ত। প্রথমে তাঁর মোবাইলের টাওয়ার লোকেট করে বাড়িতে আসা হয়। পুলিশ দেখে কিছুটা ঘাবড়ে যান অভিযুক্ত। প্রথমে নিজের পরিচয় লুকিয়ে যান। কিন্তু একাধিক প্রশ্ন করলে ঘাবড়ে যান তিনি। পরে বিষয়টি স্বীকার করে নেন তিনি। তারপর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁকে হরিয়ানা নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে তদন্ত চলবে।

বসিরহাটের যে বাড়িতে চন্দন লুকিয়ে ছিলেন, সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, “যুবককে দেখে তো আপাত নম্র স্বভাবেরই মনে হত। সবার সঙ্গে ভালো ভাবে কথা বলতেন। হাসিখুশি স্বভাবের ছেলে। এমনটা যে করে এসেছে কে জানে! এভাবে বাড়ি ভাড়া দিতেও এখন সমস্যা। নিজের নামটাও তো ভুল বলেছে ও।” চন্দনের গ্রেফতারের পর স্বাভাবিকভাবেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। আরও পড়ুন: বিকট শব্দে ভাবেন ইনভার্টার ফেটেছে, বেরিয়ে দেখেন রক্তাক্ত বৃদ্ধার গায়ে ডিম লাগাচ্ছেন অনেকে…