‘সিসিটিভিতে সব ধরা আছে, কেউ ছাড়া পাবে না’, কামারহাটির বোমাবাজিতে আপাতত জালে ২

Kamarhati: বৃহস্পতিবার মধ্যরাতেই ওই দু'জনকে গ্রেফতার করেছে বেলঘরিয়া থানার পুলিশ। তাদের দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করছেন তদন্তকারী অফিসাররা।

'সিসিটিভিতে সব ধরা আছে, কেউ ছাড়া পাবে না', কামারহাটির বোমাবাজিতে আপাতত জালে ২
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 27, 2021 | 9:35 AM

উত্তর ২৪ পরগনা: কামারহাটিতে তৃণমূলের দলীয় অফিসে বোমা এবং গুলি চালানো ঘটনায় পুলিশ দু’ জনকে গ্রেফতার করেছে। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতেই ওই দু’জনকে গ্রেফতার করেছে বেলঘরিয়া থানার পুলিশ। তাদের দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করছেন তদন্তকারী অফিসাররা। বোমায় আহত ছয় জন সাগরদত্ত হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছে। বাকি দুইজনের চিকিৎসা চলছে। তাঁদের মধ্যে এক জনের অবস্থা গুরুতর। তবে এই ঘটনার জেরে এলাকায় এখোনও চাপা উত্তেজনা রয়েছে। যে কোনও ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

এপ্রসঙ্গে কামারহাটি প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য কামালউদ্দিন আনসারি বলেন, “এলাকায় দুষ্কৃতী তাণ্ডব বেড়েই চলেছে। এর আগেও বেলঘরিয়াতে আমাদের কার্যালয়ে হামলা হয়েছে। বোমাবাজি হয়েছে। আবার কামারহাটিতে হল। দুয়ারে সরকার ক্যাম্পের কাজ চলছিল। আচমকাই হামলা হয়। পাঁচ জন আহতও হয়। তবে পুলিশ ২জনকে গ্রেফতার করেছে। বাকিরাও দ্রুত ধরা পড়বে বলে আশা করছি।”

ঘটনায় আতঙ্কের রেশ কাটিয়ে উঠতে পারেননি স্থানীয়রা। তাহের হুসেন নামে স্থানীয় এক বাসিন্দার কথায়, “আমরা তো ভয়েই থাকি সব সময়। কামারহাটির পরিবেশ খারাপ হয়ে যাচ্ছে। পুলিশ ফাঁড়ির অদূরেই এমনটা হল। তাহলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়?”

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আবারও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কামারহাটি চত্বর। সন্ধেবেলা তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে দুয়ারে সরকার শিবিরের কাজ চলছিল। ফলে অনেক আবেদনকারীও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। অভিযোগ, সেইসময় আচমকা দুই দুষ্কৃতী মোটরবাইকে এসে দলীয় কার্যালয় লক্ষ্য করে গুলি চালায় ও বোমাবাজি করে বলে অভিযোগ। তারপরেই তারা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। বোমাবাজির জেরে আহত হন মোট ছয়জন।

তাঁদের মধ্যে দুজন মহিলা ও একজন শিশুও ছিল। আহতদের সাগরদত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন স্থানীয়রা। এলাকায় নামানো হয় র‍্যাফ। মাত্র ১৫ গজ দূরে যেখানে পুলিশ ফাঁড়ি সেখানে কী করে এই ঘটনা ঘটল তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন স্থানীয়রা।

বোমাবাজির ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে একাধিক। প্রথমত, দুয়ারে সরকার শিবিরের আয়োজন কেন দলীয় কার্যালয়ে হবে? দ্বিতীয়ত, নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে গেলেও কীভাবে সেখানে সরকারি কাজ চলছিল? এই হামলার নেপথ্যেই বা কারা? এ প্রসঙ্গে, কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র বলেন, “কামারহাটিতে কোনও দুষ্কৃতীদের রেয়াদ করা হবে না। গোটা এলাকা সিসিটিভি দিয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছে। সিসিটিভিতে স্পষ্ট দেখা গিয়েছে কোন সমাজবিরোধীরা এই কাজ করেছে, তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ করা হবে।”

বোমাবাজির ঘটনায় ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং বলেন, “কামারহাটিতে বিজেপির কোনও জায়গা নেই। তাই বিজেপির ঘাড়ে দোষ দিলে হবে না। ওখানকার তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে লড়াই। এর সঙ্গে বিজেপির কোনও যোগ নেই।” আরও পড়ুন: সকলের সামনেই মুচকে ধরা হল মহিলার হাত, তিনি তখন তারস্বরে চেঁচাচ্ছেন! ভ্যাকসিন সেন্টারে ‘বিদঘুটে’ কাণ্ড