লাইনে দাঁড়িয়ে ডায়েরি লেখানোর দিন শেষ, এবার দুয়ারেই মিলবে পুলিশ!

Duare Police Project: প্রত্যন্ত এলাকার মানুষদের কষ্টের কথা ভেবে এবং কোভিড পরিস্থিতির দিকে নজর দিয়ে অভিনব পদক্ষেপ নিল পুলিশ। এলাকাবাসীর অভিযোগ থাকলে তা পুলিশই এসে জেনে যাবে।

লাইনে দাঁড়িয়ে ডায়েরি লেখানোর দিন শেষ, এবার দুয়ারেই মিলবে পুলিশ!
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 16, 2021 | 8:33 PM

উত্তর ২৪ পরগনা: এবারে আপনাকে আর থানায় যেতে হবে না। অভিযোগ লেখাতে অপেক্ষা করতে হবে না থানায়। যে কোনও ধরনের অভিযোগ থাকলে তা পুলিশই আপনার কাছে এসে জেনে যাবে। আপনার এলাকায় এসে সেই অভিযোগ সংগ্রহ করবে তারা। প্রত্যন্ত অঞ্চলের সুবিধার কথা ভেবে উত্তর ২৪ পরগনায় শুরু হল ভ্রাম্যমান থানার পরিষেবা।

এই ভ্রাম্যমান পুলিশ এবার জেলার গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ব্লক স্তরে ক্যাম্প করে গ্রামের মানুষের অভাব-অভিযোগের কথা শুনবেন। রাজ্য সরকারের নির্দেশে বারাসাত পুলিশ জেলার উদ্যোগে প্রতিটি থানা এলাকায় শুরু হয়েছে দুয়ারে পুলিশ ক্যাম্প। শুক্রবার দেগঙ্গা চাকলা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় এই দুয়ারে পুলিশ ক্যাম্পের শুভ সূচনা হয়।

প্রত্যন্ত এলাকার মানুষদের কষ্টের কথা ভেবে এবং কোভিড পরিস্থিতির দিকে নজর দিয়ে অভিনব পদক্ষেপ নিল পুলিশ। এলাকাবাসীর অভিযোগ থাকলে তা পুলিশই এসে জেনে যাবে। এদিন দেগঙ্গার এসডিপিও সৌমজিৎ বড়ুয়া, আইসি অজয় কুমার সিংয়ের নেতৃত্বে চাকলা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় দিনভর এই দুয়ারে পুলিশ ক্যাম্প চলে।

স্বাভাবিক ভাবে পুলিশের এই উদ্যোগে খুশি সাধারণ মানুষ। চাকলা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মৌমিতা দাস কাহার বলেন, এদিন ‘দুয়ারে পুলিশ’ ক্যাম্প শুরু হতেই সকাল থেকে ২০টি পরে অভিযোগ জমা পড়েছে। পুলিশ প্রত্যন্ত গ্রাম বাংলায় মানুষের বাড়িতে পৌঁছে রীতিমতো খোঁজ নিয়ে অভিযোগ দায়ের করছেন। এর ফলে এলাকা অপরাধমুক্ত হবে এবং দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য কমবে বলে মনে করছেন পঞ্চায়েত প্রধান। একই কথা বলছেন প্রশাসনিক আধিকারিকরাও।

এদিন দেগঙ্গার এসডিপিও সৌমজিৎ বড়ুয়া সাধারণ মানুষের উদ্দেশে বলেন, আপনাদের কোনও অভিযোগ থাকলে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে খবর দেবেন। এলাকায় কোন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে দেখলেও তাকে আটকে রেখে পুলিশকে খবর পাঠান। কেউ অপরাধমূলক কার্যকলাপ যুক্ত থাকলে আপনারা পুলিশের দ্বারস্থ হন। এর ফলে অপরাধমুক্ত সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব হবে।

স্থানীয়রা বলছেন, প্রশাসন পাড়ায় আসায় এলাকা অনেকটা শান্ত থাকবে। থানায় যাওয়ার সময় ও অর্থ দুই বাঁচবে তাঁদের। থানায় গিয়ে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হত। বাড়িতে পুলিশ এলে কথাগুলো নির্ভয়ে বলতে পারবেন সবাই। আর পুলিশ প্রশাসন জানাচ্ছে, সাধারণ মানুষের সঙ্গে আরও ভাল সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে। অনেকে বিনা কারণে পুলিশকে ভয় পান। আবার মহিলাদের মধ্যেও অভিযোগ নিয়ে থানায় যেতে এক রকমের দ্বিধা কাজ করে। তাই এই উদ্যোগের ফলে সেই সব প্রতিবন্ধকতা দূর হবে বলে তাঁরা আশাবাদী। আরও পড়ুন: একই শহরে পর্যটকদের জন্য দু’রকম নির্দেশিকা! বিভ্রান্তি প্রশাসনের অন্দরেও 

COVID third Wave