Crime news: মহিলাকে বাঁশবাগানে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ, বাধা দিলে ধারাল অস্ত্রের কোপ

Crime against women: আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই মহিলাকে প্রথমে পানিহাটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এরপর সেখানে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকায়, তাঁকে কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।

Crime news: মহিলাকে বাঁশবাগানে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ, বাধা দিলে ধারাল অস্ত্রের কোপ
ফাইল ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 15, 2022 | 12:51 PM

ঘোলা: এক মহিলাকে ধারাল অস্ত্রের কোপ। মহিলার গলায়, পেটে কোপ মারার অভিযোগ উঠেছে তিন যুবকের বিরুদ্ধে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই মহিলাকে আর জি কর হাসপাতালে (RG Kar Medical College and Hospital)  ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার ঘোলা থানা এলাকায়। ইতিমধ্যেই ওই ঘটনার তদন্তে নেমে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃত ওই যুবকের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬, ৩০৬ ও ৩৪ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ঘটনার পর আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই মহিলাকে প্রথমে পানিহাটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এরপর সেখানে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকায়, তাঁকে কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। বর্তমানে ওই মহিলা মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।

জানা গিয়েছে, ওই মহিলাকে বাঁশ বাগানে নিয়ে গিয়েছিল অভিযুক্ত যুবকরা। সেই সময় ওই মহিলাকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। তখন মহিলা বাঁধা দিতে গেলে, তাঁকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে গলায় ও পেটে কোপানো হয়েছিল বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই ওই ঘটনায় তেড়েফুঁড়ে তদন্তে নেমে পড়েছে ঘোলা থানার পুলিশ। পুলিশের তরফে ইতিমধ্যেই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আরও দুইজন অভিযুক্তের খোঁজ চালাচ্ছেন পুলিশকর্মীরা।

এদিকে ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ওই যুবককে জেরা করে বাকি দুই অভিযুক্তর খোঁজ পাওয়ার চেষ্টা করছেন পুলিশকর্মীরা। কী কারণে মহিলার উপর আক্রমণ, এই ঘটনায় আর কে কে জড়িত, সেই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে ঘোলা থানার পুলিশ। এদিকে ওই মহিলা গুরুতর জখম অবস্থায় ভর্তি রয়েছেন আরজি কর হাসপাতালে। যমে-দুয়ারে লড়াই চলছে তাঁর। ঘটনায় আতঙ্কের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে এলাকাবাসীদের মনে। এক স্থানীয় বাসিন্দা জানাচ্ছেন, যে জায়গায় ওই ঘটনাটি ঘটেছে, ওই জায়গাটিতে বিদ্যুতের পোস্ট নেই। ফলে জায়গাটি অন্ধকারই থাকে বলে জানিয়েছেন ওই স্থানীয় বাসিন্দা।