Panihati Councillor Murder: পানিহাটি কাউন্সিলর অনুপম দত্তের খুনে অভিযুক্তের জামিন, ফের আদালতের দ্বারস্থ হতে পারে পরিবার

Panihati Councillor Murder: অভিযুক্তের জামিনের পর থেকে মৃত কাউন্সিলরের পরিবারের লোকজন যথেষ্ট নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। মৃত কাউন্সিলরের বাবা স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের উপর আস্থা রাখতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন।

Panihati Councillor Murder: পানিহাটি কাউন্সিলর অনুপম দত্তের খুনে অভিযুক্তের জামিন, ফের আদালতের দ্বারস্থ হতে পারে পরিবার
পানিহাটি র নিহত কাউন্সিলর
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 30, 2022 | 1:58 PM

উত্তর ২৪ পরগনা: পানিহাটি কাউন্সিলর অনুপম দত্তের খুনে আবারও হাইকোর্টের দ্বারস্থ হল পরিবার। এই ঘটনায় অভিযুক্তের জামিনের ঘটনায় নিরাপত্তাহীনতায় কাউন্সিলের পরিবারের লোকজন। পানিহাটি পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত বাপি পণ্ডিতের জামিন পাওয়ার পর সোমবার রাতে আগরপাড়া তেঁতুলতলা বিটি রোড অবরোধ করেন এলাকার ক্ষিপ্ত বাসিন্দারা। অভিযুক্তের জামিন পাওয়ার ঘটনার খবর শুনে অনুপম দত্তের মা শয্যাশায়ী হয়ে পড়েছেন।

অভিযুক্তের জামিনের পর থেকে মৃত কাউন্সিলরের পরিবারের লোকজন যথেষ্ট নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। মৃত কাউন্সিলরের বাবা স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের উপর আস্থা রাখতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন। পুলিশি প্রহরায় কাউন্সিলর অনুপম দত্তের পরিবারের লোকজনদের ফের অভিযুক্ত বাপি পণ্ডিতের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে হাইকোর্টে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরেই মার্চ মাসে পানিহাটির কাউন্সিলর খুন রাজ্য রাজনীতিতে সাড়া ফেলে দেয়। উঠে এসেছে হোগলা বনের প্রমোটিং সংক্রান্ত বিবাদের তত্ত্ব। খুনের গোটা দৃশ্য সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়ে। সেদিন একটি বাইকের পিছনে বসেছিলেন তিনি। পিছন থেকে একটি নীল রঙা শার্ট পরিহিত এক ব্যক্তি তাঁকে লক্ষ্য করে খুব কাছ থেকে গুলি চালায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। পরে ওই ব্যক্তিকে হোগলাবন থেকেই স্থানীয়রা উদ্ধার করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।

জানা যায়, শম্ভুনাথ পণ্ডিতের সঙ্গে প্রমোটিং সংক্রান্ত বিবাদ ছিল অনুপমের। বাপি পণ্ডিত নামে এক ব্যক্তির নাম উঠে আসে। তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কিন্তু ছ’মাস যেতে না যেতেই মূল অভিযুক্তের জামিন হয়ে যাওয়ায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন অনুপমের স্ত্রী ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও। এই বিষয়টি নিয়ে তাঁরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছেন বলে খবর।

নিহতের মা এদিন কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি বলেন, “যারা এই কাণ্ড ঘটিয়েছে, তাদের কথা আদালত ভাবছে না। আমার তো কোল খালি হয়েছে। তারা কি আদৌ শাস্তি পেল? জামিন পেয়ে গেল। কীভাবে পেল জামিন?” নিহতের বাবা বলেন, “যারা সুপারি কিলার লাগাতে পারে, এত টাকা খরচ করে, তারা কী করতে পারে, ভাবা যায়। পুলিশের ওপর আস্থা রেখেছিলাম। ওকে তো এই ভাবে ছাড়া উচিত না, অপরাধীরা আরও সাহস পেয়ে যাবে।”