Protest in Titagarh: জেলেই মৃত্যু বন্দির, পরিজনদের বিক্ষোভে ‘লাঠিচার্জ’ পুলিশের, অবরুদ্ধ বি টি রোড
Prisoner on Trial: ৬ ডিসেম্বর চুরির অপরাধে মইনুদ্দিনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। নিয়ে আসা দমদম সেন্ট্রাল জেলে। সেখানেই ছিলেন মইনুদ্দিন। আচমকা শনিবার সন্ধেয় মৃত্যু হয় তাঁর। কীভাবে মৃত্যু তা যদিও স্পষ্ট নয়।
জানা গিয়েছে, ৬ ডিসেম্বর চুরির অপরাধে মইনুদ্দিনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। নিয়ে আসা দমদম সেন্ট্রাল জেলে। সেখানেই ছিলেন মইনুদ্দিন। আচমকা শনিবার সন্ধেয় মৃত্যু হয় তাঁর। কীভাবে মৃত্যু তা যদিও স্পষ্ট নয়। এদিকে মইনুদ্দিনের মৃত্যুর খবর পেয়ে রবিবার সকাল থেকে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁর পরিজনেরা। তাঁদের অভিযোগ, পুলিশের অতিরিক্ত মারধোরের জেরেই মৃত্যু হয়েছে মইনুদ্দিনের। অথচ, মৃতের পরিবারকে কোনও খবর দেওয়া হয়নি। রবিবার সকালে, তাঁরা খবর পান। তাই যথাযথ বিচার না হলে তাঁরা থানা ছেড়ে নড়বেন না বলে জানিয়ে দেন। কিছুক্ষণের জন্য অবরুদ্ধ হয়ে যায় বিটি রোড।
সেইসময়ে, টিটাগড় থানার পুলিশ এসে লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ। এমনকী এক উচ্চপদস্থ অফিসার ধাক্কা মেরে এক বিক্ষোভকারীকে ফেলে দেন বলেও অভিযোগ। পুলিশের লাঠিচার্জের জেরে কিছু সময়ের মধ্যেই বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা ছড়ায়। তবে কী কারণে ওই বন্দির মৃত্যু হল তা এখনও স্পষ্ট নয়।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে প্রশাসনিক সভায় বীজপুরে চুরির অভিযোগ নিয়ে সরব হয়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর থেকেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। প্রায় ৩০ জন চোরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অন্য়দিকে, ব্যারাকপুর শিল্পনগরীর নিরাপত্তা বৃদ্ধিতে থানা সংখ্যা বাড়াতে চেয়ে নবান্নে চিঠি দিয়েছে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট। পুলিশ সূত্রে খবর, লাকার বিভিন্ন থানার আয়তন ছোট হচ্ছে। তৈরি হচ্ছে নতুন আট টি থানা। পুরোনো থানা গুলি থাকছে। কিন্তু তার কিছুটা অংশ কেটে তৈরি হবে নতুন থানা।
কোন কোন থানা পরিবর্তিত হচ্ছে?
- বীজপুর থানা ভেঙে হালিশহর ও জেটিয়া থানা
- নৈহাটি থানা ভেঙে শিবদাসপুর থানা
- ভাটপাড়া ও জগদ্দল থানা ভেঙে বাসুদেবপুর থানা
- টিটাগড় থানা ভেঙে মোহনপুর থানা
- বেলঘড়িয়া থানা ভেঙে কামারহাটি ও দক্ষিণেশ্বর থানা
- দমদম থানা ভেঙে নাগেরবাজার থানা
ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা জানিয়েছেন, চলতি বছরেই সবকটি থানা তৈরি হয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। নবান্নে প্রেরিত চিঠিতে থানার কাজ দ্রুত শুরু করার রাজ্য সরকারের অনুমতিও চাওয়া হয়েছে।