Nirapada Sardar: ‘লাল ঝান্ডা ছাড়া আর কোনও শক্তি নেই’, সন্দেশখালির মাটিতে দাঁড়িয়েই বার্তা নিরাপদর
Sandeshkhali: নিরাপদ সর্দার বলেন, "পঞ্চায়েতে ভোট হয় না। কেউ প্রার্থী দিতে পারে না। প্রার্থী দিলে আর ঘরে থাকতে পারবে না। মানুষ এই অত্যাচার আর কতদিন সহ্য করবে? এখানকার মা বোনেরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন। এখানে লাল ঝান্ডা ছাড়া আর কোনও শক্তি মাথাচাড়া দিতে পারবে না।"
সন্দেশখালি: কিছুদিন আগেই সন্দেশখালিতে উড়েছিল লাল পতাকা। আর শুক্রবার সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ক নিরাপদ সর্দারকে নিয়ে ন্যাজাটে পৌঁছলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। নিরাপদ সর্দারকে অন্য়ায়ভাবে গ্রেফতার ও শেখ শাহজাহানের কর্মকাণ্ডের বিরোধিতা করে এদিন সভার ডাক দিয়েছিল সিপিএম। সেই সভা পুলিশ করতে অনুমতি দেয়নি বলে অভিযোগ। তবে লালও এদিন হাল ছাড়েনি। পথের ধারেই ঝান্ডা সাজিয়ে হয়েছে সভা। বহুদিন পর মাইক হাতে নিরাপদ সর্দার। সেখান থেকেই নতুন সন্দেশখালি গড়ারও স্বপ্ন দেখিয়েছেন তিনি।
মহম্মদ সেলিমের সেই সভায় বক্তব্য রাখার কথা ছিল। কিন্তু ১৪৪ ধারার নিয়মবিধি দেখিয়ে পুলিশ সেই সভা বাতিল করে দেয়। তারপরই সেলিমের নেতৃত্বে সিপিএমের কর্মীরা মিছিল করে এসে সভাস্থলে জমায়েত করেন। সেলিমের সঙ্গে ছিলেন সুজন চক্রবর্তীও।
সুজন বলেন, “পুলিশ ধরা পড়ে গিয়েছে। শাহজাহানকে নিরাপত্তা দিয়েছে, এখন সাধারণ মানুষকে আটকাচ্ছে। ১৪৪ ধারা কিসের জন্য? শাহজাহানদের বিরুদ্ধে লোক ক্ষেপছে বলে? পুলিশ পুলিশের কাজটা করুক। পুলিশের কাজ মানুষকে বাধা দেওয়া নয়। শাহজাহান আর তার বাহিনী ছাড়া পুলিশ এখানে সকলকে আটকাচ্ছে। হয় কোর্টে যেতে হবে না হলে ওরা আটকাবে।”
মহম্মদ সেলিমের বক্তব্য, পুলিশ ভয় পেয়েছে। তাঁর কথায়, আগে পুলিশ আর তৃণমূল মানুষকে মিথ্যা মামলার ভয় দেখিয়েছে। মানুষ জাগতেই পুলিশ ভয় পেয়েছে, তৃণমূল ভয় পেয়েছে। সেলিমের কথায়, “যারা মাইক দিয়েছিল, তাদের ব্যবসা করতে দেবে না বলে ভয় দেখিয়েছে। যারা মঞ্চ তৈরি করেছিল, তাদেরও জোর করে মঞ্চ খুলিয়েছে।” পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে এদিন ক্ষোভ উগরে দেন মহম্মদ সেলিমরা।
এদিন পথের ধারেই সভা করে সিপিএম। সেখানে বক্তব্য রাখেন নিরাপদ সর্দার। তিনি বলেন, “পঞ্চায়েতে ভোট হয় না। কেউ প্রার্থী দিতে পারে না। প্রার্থী দিলে আর ঘরে থাকতে পারবে না। মানুষ এই অত্যাচার আর কতদিন সহ্য করবে? বাড়িতে মেয়ে থাকলে নির্যাতনের শিকার হবে। শীর্ষ নেতৃত্বের অঙ্গুলিহেলন ছাড়া এসব হয় নাকি? সন্দেশখালির মানুষ সব দেখেছেন। যত দিন গিয়েছে হিসাবের খাতা লম্বা হয়েছে। এখানকার মা বোনেরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন। এখানে লাল ঝান্ডা ছাড়া আর কোনও শক্তি মাথাচাড়া দিতে পারবে না।”