Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Sodepur Crime: নিয়ন আলো, বাহারি মাছ, সোদপুরে সেই অ্যাকোয়ারিয়ামের দোকানের ভিতরেই চলত রঙিন ব্যবসা

Sodepur Crime: গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বনদফতরের অফিসারের একটি দল সোদপুরে ঘোলা চণ্ডীতলা একটি অ্যাকোয়ারিয়ামের দোকানে তল্লাশি চালায়। সেখান থেকে ওয়ার্ল্ড লাইভ আর্টিক্যালস উদ্ধার করে বনদফতর।

Sodepur Crime: নিয়ন আলো, বাহারি মাছ, সোদপুরে সেই অ্যাকোয়ারিয়ামের দোকানের ভিতরেই চলত রঙিন ব্যবসা
অ্যাকোয়ারিয়াম থেকে ধৃত
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 06, 2022 | 8:54 AM

উত্তর ২৪ পরগনা: অ্যাকোয়ারিয়ামের দোকান। বাহারি মাছ বিকোয়। রয়েছে আরও বিভিন্ন জলজ প্রাণী। বিক্রিবাট্টা ভালই দোকানে। ব্যস, পড়শি দোকানিরা এটুকুই জানতেন। তবে হঠাৎ কেন সেই দোকানে হাজির পুলিশ? কীসের এত জেরা? অ্যাকোয়ারিয়ামের দোকানের সামনে যখন পুলিশের ভ্যানটা এসে দাঁড়াল, তখনও অবধি কিছুই বুঝতে পারছিলেন না কেউ। তারপর যখন জানতে পারলেন,আশেপাশের দোকানিদের তো চোখ কপালে। ওই দোকানেই রাখা ছিল বিরল প্রজাতির সামুদ্রিক প্রাণী। দাম লক্ষাধিক। গোপন সূত্রে অভিযান চালিয়ে সেই দোকান থেকে বিরল প্রজাতির সামুদ্রিক প্রাণী উদ্ধার করলেন বন দফতরের কর্মীরা। ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে ৩ জনকে। পলাতক ১। ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সোদপুর ঘোলা চণ্ডীতলা এলাকায়। ধৃতদের নাম সম্রাট সেন,সৌরদীপ দোলুই,দেবাশিস দে।

জানা যাচ্ছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বনদফতরের অফিসারের একটি দল সোদপুরে ঘোলা চণ্ডীতলা একটি অ্যাকোয়ারিয়ামের দোকানে তল্লাশি চালায়। সেখান থেকে ওয়ার্ল্ড লাইভ আর্টিক্যালস উদ্ধার করে বনদফতর। প্রচুর পরিমাণে সামুদ্রিক কোরাল উদ্ধার হয়। তিন জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন বনদফতরের অফিসাররা।

জেরায় একাধিক বিষয়ে অসঙ্গতি থাকায় তাঁদেরকে গ্রেফতার করা হয়। দোকানের মালিক উজ্জল চৌধুরি গা ঢাকা দিয়েছেন। তাঁর খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।

অ্যাকোয়ারিয়ামের দোকানে যখন পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছিল, তখন রীতিমতো হতভম্ব হয়ে গিয়েছেন আশেপাশের লোকজন। তাঁরা তো বুঝতেই পারছেন, এই তল্লাশির অর্থ কী? কেনই বা গ্রেফতারি? যখন তাঁরা সবটা জানতে পারলেন,নিজেরাই প্রশ্ন করছেন, এমনটাও হয়!

পাশের দোকানের এক ব্যক্তি বলেন, “দোকানে যে এসব বিক্রি হত আমরা তো ওত বুঝতাম না। দোকানের মালিক খুব কমই দোকানে আসত। ছেলেগুলোই বসত। এমনিতে তো আগে কখনও পুলিশ আসতে দেখিনি।”

তদন্তকারীরা মনে করছেন, এর পিছনে এক বড় চক্র কাজ করছে। সাধারণ এই ধরনের বিরল সামুদ্রিক প্রাণী সাধারণের হাতে আসার কথা হয়। তাহলে কাদের হাত বদলে এই সামুদ্রিক প্রাণীগুলি এসেছে, কাদেরকে বিক্রি করা হয়েছে? এই সবই জানতে চান তদন্তকারীরা।