Suvendu Adhikari Sandeshkhali: ‘আজ গোটা দ্বীপ আমার সঙ্গে’, তৃণমূলের ব্রিগেডের দিনই ১০ তারিখ সন্দেশখালিতে ‘মেগা ইভেন্টে’র ঘোষণা শুভেন্দুর
শুভেন্দু অধিকারী বলেন, "জেলিয়াখালির মানুষ অপেক্ষায় ছিলেন। কবে মোদীজীর সৈনিকরা আসবেন, সেটার অপেক্ষায় ছিলেন এখানকার মানুষ। অনেক লড়াই করতে হয়েছে। সিঙ্গল বেঞ্চ, ডিভিশন বেঞ্চ ঘুরতে হয়েছে। হেড কাউন্ট করা হয়েছে। আরে যে নৌকা চালাবেন, তাঁকেই উঠতে দেওয়া হচ্ছে না।"
সন্দেশখালি: ১০ তারিখ তৃণমূলের ‘জনগর্জন’! ব্রিগেডে তৃণমূলের সভা। আর সেদিনই সন্দেশখালিতে বড় সভা করবে বিজেপি। ঘোষণা করলেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শেখ শাহজাহান গ্রেফতারির পরই সন্দেশখালিতে যান শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখানে দাঁড়িয়েই তিনি জানিয়ে দিন, ১০ তারিখ আবারও তিনি সন্দেশখালিতে যাবেন তিনি। সভা করবেন।
শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “জেলিয়াখালির মানুষ অপেক্ষায় ছিলেন। কবে মোদীজীর সৈনিকরা আসবেন, সেটার অপেক্ষায় ছিলেন এখানকার মানুষ। অনেক লড়াই করতে হয়েছে। সিঙ্গল বেঞ্চ, ডিভিশন বেঞ্চ ঘুরতে হয়েছে। হেড কাউন্ট করা হয়েছে। আরে যে নৌকা চালাবেন, তাঁকেই উঠতে দেওয়া হচ্ছে না। গোটা দ্বীপ আমার সঙ্গে, গোটা গ্রাম আমার সঙ্গে। দেখুন ১০ হাজার লোক বেরিয়ে পড়েছে। ১০ তারিখে বড় সভা হচ্ছে। এই এলাকায় হচ্ছে। আমি থাকব।”
সন্দেশখালিতে এর আগেও আরও দুবার যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন শুভেন্দু। প্রথমদিন তিন বিধায়ককে নিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু সরবেড়িয়া বাজারের কাছেই পুলিশি বাধার মুখে পড়েন। ১৪৪ ধারা জারি থাকার কারণ দর্শিয়ে তাঁকে যেতে বাধা দেয় পুলিশ। বিকাল পর্যন্ত সেখানেই ধরনায় বসে ফেরত আসতে বাধ্য হন শুভেন্দু। এরপর কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশনামা হাতে নিয়ে সন্দেশখালি ঢোকেন শুভেন্দু। সেদিনই শাঁখ বেজেছিল, উলুধ্বনি পড়েছিল, ফুলের মালা পরিয়েছিলেন সন্দেশখালির মহিলারা। শেখ শাহাজাহান গ্রেফতার হতেই ফের সন্দেশখালির মাটিতে শুভেন্দু অধিকারী।
এদিনও তাঁকে দেখে হল পুষ্পবৃষ্টি। শাঁখ বাজালেন মহিলারা, শুভেন্দুর গলায় পরালেন ফুলের মালা। শুভেন্দু বললেন, “আজ গোটা দ্বীপ আমার সঙ্গে।”