Sougata Roy: ‘বহু মানুষ চিকিৎসার জন্য বাইরে যাচ্ছেন’, এবার কি রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো নিয়ে প্রশ্ন তুললেন সৌগতও?

Sougata Roy: সাংসদ বলেন, "আগেকার দিনে পশ্চিমবাংলায় ডঃ বিধান চন্দ্র রায়, নীলরতন সরকার ও ডঃ যোগেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত নাম করা চিকিৎসকরা ছিলেন এবং সে সময় বাইরের রাজ্য থেকে মানুষরা পশ্চিমবঙ্গে চিকিৎসা করাতে আসতেন। কিন্তু এখন প্রতিদিন করমন্ডল এক্সপ্রেসে উঠলে দেখা যাবে বহু মানুষ এই রাজ্য থেকে ভাল চিকিৎসা পাওয়ার জন‍্য বাইরে যাচ্ছেন। এটা খুব দুঃখের ব্যাপার।"

Sougata Roy: 'বহু মানুষ চিকিৎসার জন্য বাইরে যাচ্ছেন', এবার কি রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো নিয়ে প্রশ্ন তুললেন সৌগতও?
তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 14, 2022 | 8:07 PM

সোদপুর : রাজ্যের সরকারি স্বাস্থ্য পরিকাঠামো নিয়ে বার বার প্রশ্ন তুলেছে বিরোধী দলগুলি। এবার কি রাজ্যের শাসক দলের সাংসদের গলাতেও তেমনই ইঙ্গিত পাওয়া গেল? শনিবার সোদপুরে এক নতুন হাসপাতালের উদ্বোধনে এসে কীসের বার্তা দিয়ে গেলেন বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায়? সাংসদ বলেন, “আগেকার দিনে পশ্চিমবাংলায় ডঃ বিধান চন্দ্র রায়, নীলরতন সরকার ও ডঃ যোগেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত নাম করা চিকিৎসকরা ছিলেন এবং সে সময় বাইরের রাজ্য থেকে মানুষরা পশ্চিমবঙ্গে চিকিৎসা করাতে আসতেন। কিন্তু এখন প্রতিদিন করমন্ডল এক্সপ্রেসে উঠলে দেখা যাবে বহু মানুষ এই রাজ্য থেকে ভাল চিকিৎসা পাওয়ার জন‍্য বাইরে যাচ্ছেন। এটা খুব দুঃখের ব্যাপার।”

এরপরই অবশ্য রাজ্যে কম খরচে স্বাস্থ্য পরিষেবার সুবিধার কথা তুলে ধরেন সাংসদ। প্রশংসা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের। সেই সঙ্গে রাজ্যে ভাল মানের সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের দরকার যে আছে, সেই কথাও উল্লেখ করেন তিনি। মোটের উপর রাজ্যের স্বাস্থ্যব্যবস্থার অবস্থা যে মোটেও খুব একটা সন্তোষজনক নয়, তা সাংসদ সৌগত রায়ের মন্তব্য থেকে অনেকটাই স্পষ্ট। তৃণমূল সাংসদের এই মন্তব্যকে ঘিরে বেশ শোরগোল পড়ে গিয়েছে জেলার রাজনীতিতে। উল্লেখ্য শনিবার ওই হাসপাতাল উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা, পানিহাটি বিধায়ক নির্মল ঘোষ, কাউন্সিলর তীর্থঙ্কর ঘোষ সহ অন্যান্যরা।

উল্লেখ্য, রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর বেহাল দশা নিয়ে বার বার অভিযোগ উঠেছে। বিশেষ করে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডকে কেন্দ্র করে সাম্প্রতিক অতীতে একাধিক বার রোগী হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। স্বাস্থ্য সাথীর আওতায় পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত স্বাস্থ্য বিমার সুবিধার কথা বলা হয়েছে। স্বাস্থ্য সাথীর কার্ডে রোগী ভর্তি করাতে নারাজ বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষগুলির একাংশ। তাঁদের অভিযোগ, রাজ্যের থেকে টাকা পাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা হয়। অনেক ক্ষেত্রেই টাকা বকেয়া পড়ে থাকে। যদিও বেসরকারি হাসপাতালগুলির স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে ভর্তি করাতে এই অনীহা নিয়ে কড়া অবস্থান নিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। হুঁশিয়ারির সুরে নির্দেশ দিয়েছেন, যে সব নার্সিংহোম রোগী ফেরাচ্ছে, তাদের স্বাস্থ্য কেমন তা দেখতে হবে।