Didir Doot : ‘অকর্মের ঢেঁকি’, ‘দিদির দূত’ তাপসের সামনেই পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরালেন অঞ্চল সভাপতি

Didir Doot : এদিন তাপস রায়কে কাছে পেয়ে এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য গোবিন্দ অধিকারীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন দলেরই অঞ্চল সভাপতি সজল দাস। গোবিন্দর বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ এলাকার বাসিন্দারাও।

Didir Doot : ‘অকর্মের ঢেঁকি’, ‘দিদির দূত’ তাপসের সামনেই পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরালেন অঞ্চল সভাপতি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 17, 2023 | 6:51 PM

ঘোলা : হাতে আর মাত্র কটা মাস। তারপরই বেজে যাবে পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election) রণদামামা। তবে পায়ের তলার মাটি শক্ত করতে এখন থেকে কোমর বেঁধে ময়দানে নেমে পড়েছেন শাসক থেকে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীরা। গ্রামে গ্রামে ছুটছেন ‘দিদির দূতরা’ (Didir Doot)। আম-আদমির ঘরে ঘরে নিয়ে যাচ্ছেন ‘দিদির রক্ষাকবচ’ (Didir Rakshakabach)। একাধিক সরকারি প্রকল্পের সুবিধার কথা তুলে ধরছেন মানুষের দরবারে। এরইমধ্যে ঘোলা বিলকন্দা পঞ্চায়েতের দিদির দূতের সামনে সরাসরি পঞ্চায়েত সদস্যর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিতে দেখা গেল অঞ্চল সভাপতিকে। যা নিয়ে চাপানউতর শুরু হয়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলে। ক্ষোভ উগরে দিলেন সাধারণ মানুষেরা। এদিন দিদির দূত হয়ে মানুষের দরবারে পৌঁছে যান তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায় (Trinamool MLA Tapsh Ray)। 

সূত্রের খবর, এদিন তাপস রায়কে কাছে পেয়ে এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য গোবিন্দ অধিকারীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন দলেরই অঞ্চল সভাপতি সজল দাস। গোবিন্দর বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ এলাকার বাসিন্দারাও। অভিযোগের সুরে এলাকার বাসিন্দা অর্চনা গায়েন বলেন, “কোনও অসুবিধা হলে আমাদের পাশে থাকেন না। কোনও কিছুতেই সাহায্য করেন না। কিছু বলতে গেলেও শুনতে চান না। কদিন আগে ওনার বাড়ির সামনে ভ্যাকসিনের স্লিপ দেওয়া হচ্ছিল। সেখানে আমাদের বাড়ির লোক স্লিপ আনতে গেলে বলে স্লিপ দেব না। লাগলে ডেথ সার্টিফিকেট দেব।” তাপস রায়ের সামনে দাঁড়িয়েই গোবিন্দর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে অঞ্চল সভাপতি সজল দাস বলেন, “ও কোনও কাজ করে না। অকর্মের ঢেঁকি। পঞ্চায়েতের জনপ্রতিনিধিদের গ্রুপে দলকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করেছে। ফেসবুকেও সরকারি প্রকল্পের কাজ নিয়ে দলের বদনাম করেছে।”

এদিনের কর্মসূচি থেকে তাপস রায় বলেন, “অনেক পরিষেবাই মানুষ পেয়েছে। অনেকেই পাননি সেগুলিও নোট করা হয়েছে। রাস্তার ব্যাপার রয়েছে। অনেকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পাননি, আবার অনেকে বিধবা ভাতা পেয়েছেন। আমাদের সঙ্গে গ্রামের প্রধান,সমিতির সভাপতি সকলেই ছিলেন।” তবে এদিন গোবিন্দর বিরুদ্ধে অঞ্চল সভাপতির অভিযোগ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে সরাসরি উত্তর না দিয়ে সাংবাদিকদের উদ্দেশে তাপস বলেন, “আপনাদের অফিসে সব সাংবাদিক কী সমানভাবে কাজ করে? সবাই অ্যাক্টিভ হয়? কেউ খুব ভাল কাজ করে, কেউ কেউ করে না, কেউ কেউ কম কাজ করে।” এদিকে বিগত কয়েকদিনে দিদির দূতদের লাগাতার আক্রমণ শানাতে শুরু করেছেন পদ্ম নেতারা। আক্রমণ শানিয়েছেন বিজেপি সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এদিন পাল্টা দিলীপের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে তাপস বলেন, “দিলীপ নিজে একটা গুন্ডা। বিজেপির বাংলায় কিছু হবে না। কারণ বাংলার একটা কৃষ্টি আছে, সংস্কৃতি আছে, কালচার আছে। এসব অসভ্যরা একটা আমদানি করা কালচার এখানে ঢুকিয়ে দিতে চাইছে। সেটা হবে না। বাংলার মানুষ সেটা আগেও পরিত্যাগ করেছে। আগামীতেও করবে।”