CM Mamata in Sandeshkhali: ‘সন্দেশখালিতে আরও সন্দেশের দোকান হবে, আসছে দুয়ারে সরকার’, মোট ১১৩ কোটি টাকার প্রকল্পের উদ্বোধনী মঞ্চে বললেন মমতা
CM Mamata in Sandeshkhali: এদিন মোট ১১৩ কোটি টাকার প্রকল্প উদ্বোধন করছেন সন্দেশখালি থেকে। বক্তব্য রাখতে গিয়ে শুরুতেই একের পর এক বড় ঘোষণা করতে দেখা যায় তাঁকে। সাফ জানিয়ে দেন সন্দেশখালিতে আবার হবে দুয়ারে সরকার।
সন্দেশখালি: বছরের শুরুতেই সন্দেশখালি ইস্যুতে বিতর্কের ঝড় উঠেছিল বঙ্গ রাজনীতির আঙিনায়। বাংলার পাশাপাশি উত্তাল হয়েছিল দিল্লিও। ঘরে বাইরে প্রবল অস্বস্তির মধ্যেই লোকসভা ভোটে লড়েছিল ঘাসফুল শিবির। যদিও শেষ পর্যন্ত বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রে শেষ হাসি হাসে তৃণমূলই। যদিও সন্দেশখালির বিধানসভাভিত্তিক ফলে পিছিয়ে যায় মমতা ব্রিগেড। সেই সন্দেশখালিতেই প্রায় এক বছর পর পা রেখেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকে তিনি কী বার্তা দেন সেদিকে নজর রয়েছে রাজনৈতিক মহলে। এদিন দুপুর ১টা নাগাদ মুখ্যমন্ত্রীর চপার নামে সন্দেশখালির মাঠের পাশে অস্থায়ী হেলিপ্যাডে। সোজা উঠে যান মঞ্চে।
এদিন মোট ১১৩ কোটি টাকার প্রকল্প উদ্বোধন করছেন সন্দেশখালি থেকে। বক্তব্য রাখতে গিয়ে শুরুতেই একের পর এক বড় ঘোষণা করতে দেখা যায় তাঁকে। সাফ জানিয়ে দেন সন্দেশখালিতে আবার হবে দুয়ারে সরকার। জানুয়ারির শেষ থেকে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত চলবে। একইসঙ্গে এলাকার কাস্ট সার্টিফিকেটের সমস্যা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা যায় তাঁকে। সেই সমস্যাও দুয়ারে সরকারের মাধ্যমে মিটিয়ে ফেলা হবে বলে জানান তিনি।
একইসঙ্গে সেখানে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের উন্নতির উপরেও যে জোর দেওয়া হচ্ছে সে কথাও বলতে দেখা যায় তাঁকে। বলেন, “সন্দেশখালিতে একটি ৩০ বেডের রুরাল হাসপাতাল আছে। আমি ৬০ বেডের করে দিতে বলেছি। সিজার করার জন্য ব্যবস্থা করতে বলব।”
এই খবরটিও পড়ুন
সঙ্গে এলাকার মহিলাদের আশ্বস্ত করে বলেন, “লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মা বোনেদের বলব আগামী দিনে বিধবা এবং বার্ধক্য ভাতার জন্য দৌড়াতে হবে না। যতদিন বেঁচে থাকবেন এটা পেয়ে যাবেন।” তবে সঙ্গে দুর্নীতি রুখতেও কড়া বার্তা শোনা যায় মমতার মুখে। প্রকল্পের সুবিধা পেতে যাতে অতিরিক্ত টাকা কাউকে দিতে না হয় সে কথাও স্পষ্টভাবে বলেন। সাফ বলেন, “সরকারি প্রকল্পের জন্য কাউকে কখনও টাকা দেবেন না”। এরইমাঝে আবার সন্দেশখালির নামকরণ নিয়েও কৌতূহল প্রকাশ করতে দেখা যায় তাঁকে। কেন এমন নাম তা বোঝার চেষ্টা করেন। সমবেত জনতার উদ্দেশ্যে বলেন, “সন্দেশখালির নাম সন্দেশের সঙ্গে জড়িত। এখানে কি আগে সন্দেশ পাওয়া যেত?” ঠিক তারপরই বলে ওঠেন, “সন্দেশখালিতে আরও সন্দেশের দোকান হবে”।