Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Scam: তালিকায় নাম রাজ চক্রবর্তীরও… বড় পদক্ষেপের আভাস দিল সিবিআই

Recruitment Scam: সেই পর্ব কি আবারও ফিরতে চলেছে? বৃহস্পতিবার আদালতে জোরাল ইঙ্গিত দিয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। আবারও সিবিআই-এর নজরে রাজনৈতিক প্রভাবশালীরা।

Scam: তালিকায় নাম রাজ চক্রবর্তীরও... বড় পদক্ষেপের আভাস দিল সিবিআই
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই-এর হাতে নতুন তথ্যImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 27, 2025 | 9:26 PM

কলকাতা: বৃহস্পতিবার বিশেষ আদালতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিন মামলার শুনানি ছিল। এদিন আদালতে বড় তথ্য দিয়েছে সিবিআই। শুনানির নির্যাস, রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে চলেছে সিবিআই। কাদের ডাকা হতে পারে, তার ইঙ্গিত আগেই দিয়েছিলেন তদন্তকারীরা।

২০২২-২৩ সাল, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পরপর গ্রেফতারি হয়েছে। ইডি-সিবিআই-এর জালে একের পর এক শাসক নেতা। তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য, বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা- সেই পর্ব কি আবারও ফিরতে চলেছে? বৃহস্পতিবার আদালতে জোরাল ইঙ্গিত দিয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। আবারও সিবিআই-এর নজরে রাজনৈতিক প্রভাবশালীরা।

আদালতে সিবিআই জানিয়েছে, বিকাশ ভবনের ওয়ার হাউজ় থেকে একটি তালিকা খুঁজে পেয়েছে সিবিআই। তাতে ৩২১ জন অযোগ্য প্রার্থীর নাম ছিল। তার মধ্যে ১৩৪ জন চাকরিও পান। তাঁদের নাম রাজনৈতিক নেতারা সুপারিশ করেছিলেন বলে দাবি সিবিআই-এর। তাতে যেমন পার্থর হাজতবাসের মেয়াদ বাড়তে পারে, অন্যদিকে নতুন করে বিপাকে পড়তে পারেন অনেক নেতাই।

কারা সেই নেতা?

আদালতে জমা দেওয়া সিবিআই-এর তথ্য বলছে, সুপারিশকারীর তালিকায় নাম ছিল প্রাক্তন সাংসদ ও বিজেপি নেতা দিব্যেন্দু অধিকারী, প্রাক্তন পুলিশ কর্তা ও বিজেপি নেত্রী ভারতী ঘোষ, রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর, স্বরূপনগরের তৃণমূল বিধায়ক বীণা মণ্ডল, পাঁচলার তৃণমূল বিধায়ক গুলশন মল্লিক, পানিহাটির তৃণমূল বিধায়ক নির্মল ঘোষ, ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লা,  কোতুলপুরের প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক শ্যামল সাঁতরা।

সিবিআই-এর তালিকায় নাম রয়েছে রাজ চক্রবর্তীর।  তবে এই রাজ চক্রবর্তী বারাকপুরের বিধায়ক কিনা, তা স্পষ্ট নয়। কারণ সিবিআই তালিকায় সকলের নামের পাশে ডেজিগনেশন দিয়েছে, তবে রাজের নামের পাশে কোনও ডেজিগনেশন নেই। উল্লেখ্য, পরিচালক রাজ চক্রবর্তী সে সময়ে বিধায়ক হননি। এক্ষেত্রে TV9 বাংলাকে রাজ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, “এটা আমি না। অন্য কারোর নামের সঙ্গে গোলাচ্ছে না তো? ”

ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি এই নেতাদের নাম সামনে আসে। তখন শ্যামল সাঁতরা বক্তব্য ছিল, ‘এটা তাঁকে টার্গেট করা হয়েছে’। শওকত মোল্লারও দাবি ছিল, ‘চক্রান্ত করে এই ধরনের নোংরামি করা হচ্ছে’।

এই নিয়ে বিজেপি নেতা দিব্যেন্দু অধিকারীর বক্তব্য, “নো কমেন্টস্।” অন্যদিকে, বিজেপি নেত্রী ভারতী ঘোষের বক্তব্য, “সিবিআই যখন আমার নামটা পেল, উচিত ছিল আমাকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করার। সিবিআই আমাকে একবারও ডাকেনি। যখন কারোর নাম আসে, তখন তাঁকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা নর্মাল তদন্তের মধ্যে পড়ে। দ্বিতীয় কথা, এসপি-র সময়ে হাজার হাজার মানুষের উপকার করেছি। এসএসকেএমের সিটেরও ব্যবস্থা করেছি।”

অন্যদিকে, তৃণমূল সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর বলেন, “এই ধরনের কাজ আমি কখনও করি না। করিওনি। ”

এসবের মাঝে সরব বিরোধীরা। বিজেপি নেতা সজল ঘোষ বলেন, “মানুষ এঁদের আর সমাজে দেখতে চায় না। সিবিআই-কে আরও সজাগ হতে হবে।” সিবিআই-এর যে তৎপরতার প্রয়োজন রয়েছে, সেটা দেখাতে সিবিআই প্রাথমিকভাবে ব্যর্থ হয়। এখন যখন বলছেন, তথ্য সামনে আনুক।”

বৃহস্পতিবার আদালতে সিবিআই জানিয়েছে, মাস্টারমাইন্ড পার্থ চট্টোপাধ্যায়ই। কিন্তু এই মাস্টারমাইন্ডের ‘হ্যান্ডস্’ কটা, সেটাই এবার সামনে আনতে চলেছে সিবিআই।