Firing Case: দাম্পত্য কলহ থেকে চলল গুলি! স্বামীর ছোড়া গুলিতে গুরুতর আহত স্ত্রী
গুলি চালনার সময় রুকসানা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তাঁর হাতে গুলি লাগে। গুলির আওয়াজ হতেই পরিবারের লোকজন সহ স্থানীয় বাসিন্দারা রবিউলকে তাড়া করে। তখন সেখান থেকে অভিযুক্ত পালিয়ে যায়। এর পরই আহত রুকসানা বিবিকে মিনাখাঁ গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
মিনাখাঁ: স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দাম্পত্য কলহ। এমন ঘটনা প্রায়শই ঘটে থাকে। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিভিন্ন কারণে বিবাদ হয় আবার তা মিটেও যায়। কিন্তু রবিবার দাম্পত্য কলহের জেরে চলল গুলি। শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে স্ত্রীকে লক্ষ্য করে গুলি চালনার অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। স্বামীর ছোড়া গুলিতে বিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন স্ত্রী। রবিবার এই ঘটনা ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের মিনাখাঁ থানা এলাকায়। ঘটনা নিয়ে অভিযোগ দায়ের হয়েছে মিনাখাঁ থানায়। ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত স্বামী। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
বসিরহাটের মিনাখাঁ থানার মৌলি গ্রামে স্বামীর গুলিতে আক্রান্ত হলেন স্ত্রী। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এক বছর আগে মিনাখাঁর থানার মিনাখাঁ গ্রাম পঞ্চায়েতের মৌলি গ্রামের বাসিন্দা ২৩ বছরের রুকসানা বিবির সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল বসিরহাট থানার শাঁকচূড়া-বাগুন্ডি গ্রাম পঞ্চায়েতের সোলাদানা এলাকার রবিউল সর্দারের সঙ্গে। বিয়ের পর থেকে রুকসানা বিবির সাথে রবিউল সর্দারের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকত। সম্প্রতি রুকসানা বিবি বাপের বাড়িতে থাকতে শুরু করেন। রবিবার রাত ১০টা নাগাদ রবিউল মৌলি গ্রামে শ্বশুরবাড়ি গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে স্ত্রী রুকসানা বিবির সঙ্গে রবিউল ঝামেলা, বিবাদ শুরু করে বলে অভিযোগ। তার পর আচমকা কোমর থেকে পিস্তল বের করে স্ত্রীকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে রবিউলের বিরুদ্ধে।
গুলি চালনার সময় রুকসানা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তাঁর হাতে গুলি লাগে। গুলির আওয়াজ হতেই পরিবারের লোকজন সহ স্থানীয় বাসিন্দারা রবিউলকে তাড়া করে। তখন সেখান থেকে অভিযুক্ত পালিয়ে যায়। এর পরই আহত রুকসানা বিবিকে মিনাখাঁ গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে পরিস্থিতির অবনতি রুকসানাকে স্থানান্তরিত করা হয় কলকাতার চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত রবিউল পলাতক। শুধুই কি পারিবারিক অশান্তির জেরে চলল গুলি? নাকি এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে? ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মিনাখাঁ থানার পুলিশ।