Gaighata: ব্লক করেছে প্রেমিকা, মানতে না পেরে চরম সিদ্ধান্ত প্রেমিকের, মেয়ের ঠাকুমা বললেন, ‘ওরা তো শুধুই বন্ধু’

Gaighata: উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটার ঘটনা। সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে যেতে চাওয়ায় গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হলেন যুবক।

Gaighata: ব্লক করেছে প্রেমিকা, মানতে না পেরে চরম সিদ্ধান্ত প্রেমিকের, মেয়ের ঠাকুমা বললেন, 'ওরা তো শুধুই বন্ধু'
আত্মঘাতী যুবক (নিজস্ব ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 28, 2022 | 5:59 PM

গাইঘাটা: দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ওঁদের। বেশ সুখেই কাটছিল সময়। চোখে ছিল অনেক স্বপ্ন। তবে পূরণ হল না। মেয়েটির বিয়ে ঠিক হয়েছে অন্য জায়গায়। আর তা জানতে পেরেই চরম সিদ্ধান্ত নিলেন যুবক।

উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটার ঘটনা। সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে যেতে চাওয়ায় গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হলেন যুবক। জানা গিয়েছে, মৃতের নাম সজল কুমার বিশ্বাস। বয়স ১৮ । গাইঘাটা থানার সুটিয়া এলাকার বাসিন্দা। সজল মুম্বইতে কর্মরত ছিলেন। সেখান থেকেই পরিবারের সদস্যদের কাছে মৃত্যুর খবর আসে।

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গাইঘাটারই একটি মেয়ের সঙ্গে দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল সজলের। মেয়েটির সজলের বাড়িতে যাতায়াত ছিল। অভিযোগ, সম্প্রতি মেয়েটি সজলকে জানায়, তাঁর অন্যত্র বিয়ে ঠিক হয়ে গিয়েছে। তাই তিনি আর সম্পর্ক রাখতে পারবেন না। তবে বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি ওই যুবক। একাধিকবার মেয়েটিকে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন তিনি। কিন্তু মেয়েটি ফোন নম্বর ব্লক করে দেয় তাঁর।

পরবর্তীতে, অর্থাৎ শুক্রবার ভোররাতে পরিবারের সদস্যদের কাছে খবর আসে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে সজল। এ দিকে, পরিবারের বড় ছেলের মৃত্যুতে এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। গোটা পরিবার ডুবেছে বিষাদে।

যদিও, মেয়েটির ঠাকুমার দাবি তাঁর নাতনির সঙ্গে সজলের শুধুমাত্র বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল। কোনও ধরনের ভালোবাসার সম্পর্ক ছিল না। ‘আমরা কিছুই জানতাম না এইসব। আমরা আজই শুনলাম। ওর বাবা-মা বাইরে গিয়েছে। মেয়েটার শরীর ঠিক নেই। অগ্রায়ণ মাসে ওর বিয়ে ঠিক হয়েছে। ওরা যা বলছে বানিয়ে মিথ্যে কথা বলছে। কলেজে যাওয়ার সময় পরিচয়। ওরা শুধুই বন্ধু ছিল। আর যখন জানল ওর বিয়ে ঠিক হয়ে গিয়েছে তাহলে পিছনে পড়ে রয়েছ কেন?’

অপরদিকে, সজলের মা কাঁদতে-কাঁদতে বলেন, ‘কোথাও যেন ওর বিয়ে না হয়। একাধিকবার আমার বাড়িতে এসেছে। ওর পাঁচ থেকে ছ’বছরের সম্পর্ক। এখন বলছে অন্য জায়গায় বিয়ে ঠিক হয়েছে।’ শনিবার মুম্বই থেকে সজলের এর মৃতদেহ এসে পৌঁছায় সুঁটিয়ার বাড়িতে।