Ox Beaten: শরৎচন্দ্রের ‘মহেশ’ জানে না অবলা ষাঁড়, পরের জমির ঘাস খেয়ে জুড়ল বেধড়ক মার

ষাঁড়টির নাক দিয়ে রক্ত ঝরতে শুরু করে। উঠে দাঁড়াতেও পারছে না।

Ox Beaten: শরৎচন্দ্রের 'মহেশ' জানে না অবলা ষাঁড়, পরের জমির ঘাস খেয়ে জুড়ল বেধড়ক মার
গাইঘাটায় বেধড়ক মারধরে প্রহৃত ষাঁড়।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 23, 2023 | 8:55 PM

গাইঘাটা: এ যেন আরেক মহেশ! পেটের জ্বালায় পাশের বাড়ির গরুর জন্য চাষ করা ঘাস খেয়ে নিয়েছিল। আর সেই অপরাধে মর্মান্তিক পরিণতি হল অবলা ভবঘুরে ষাঁড়টির। নিজের পোষ্যর ঘাস খেয়ে নেওয়ার জন্য বাঁশ ও মুগুর দিয়ে ষাঁড়টিকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠল। আর বেধড়ক মারধরে ষাঁড়টি উঠে দাঁড়ানোর ক্ষমতা হারিয়েছে। নাক দিয়েও রক্ত ঝরছে। চরম অমানবিক এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটায়। অভিযুক্তের শাস্তির দাবি তুলে গোটা ঘটনায় সরব হয়েছেন পশুপ্রেমীরা।

জানা গিয়েছে, গাইঘাটার ময়না এলাকার বাসিন্দা গণেশ মজুমদারের নিজের একটি গরু রয়েছে। তাই গরুর খাবারের জন্য বাড়িতেই ঘাস চাষ করেছেন তিনি। তাঁর গরুর জন্য চাষ করা ঘাস ভবঘুরে ষাঁড়টি খেয়ে নিয়েছিল। সে জন্যই গণেশ বাঁশ ও মুগুর দিয়ে অবলা ভবভুরে ষাঁড়টিকে বেধড়ক মারধর করেছেন বলে অভিযোগ। শেষ পর্যন্ত গ্রামবাসীদের হস্তক্ষেপে প্রাণে বেঁচেছে ষাঁড়টি। বর্তমানে গ্রামবাসীদের তত্ত্বাবধাবনেই ষাঁড়টির চিকিৎসা শুরু হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভবঘুরে ষাঁড়টি দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় ঘোরাফেরা করে। তবে এখনও পর্যন্ত কারও কোনও ক্ষতি করেনি। মাঝে-মধ্যে হয়তো পেটের টানে জমির ফসল খেয়ে নেয়। কিন্তু তাড়িয়ে দিলে চলে যায়। স্থানীয়দের দাবি, রবিবার গণেশের গরুর জন্য চাষ করা ঘাস খেয়ে মাঠে শুয়েছিল ষাঁড়টি। যা দেখে বেজায় চটে যান গণেশ। তারপরই তিনি বাঁশ ও মুগুর নিয়ে চড়াও হন ষাঁড়টির উপর।

গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ষাঁড়ের মাথায় এবং পায়ে এলোপাতাড়ি মারতে থাকেন গণেশ। বারণ করলেও কারও কথা তিনি শোনেননি। বেধড়ক মারধরে অসুস্থ হয়ে পড়ে ষাঁড়টি। তার নাক দিয়ে রক্ত ঝরতে শুরু করে। উঠে দাঁড়াতেও পারছে না। যা দেখে স্থানীয়রাই ডাক্তার ডেকে ষাঁড়ের চিকিৎসা শুরু করেন।

যদিও গণেশের স্ত্রী মঞ্জু মজুমদারের পাল্টা দাবি, ষাঁড়টি আগে থেকেই অসুস্থ ছিল। তার বয়স হয়ে গিয়েছে। মাঠ থেকে তাড়ানোর জন্য মুগুরের দুটো বাড়ি মেরেছিল। গ্রামবাসীরা বাড়িয়ে বলছে। তবে গণেশ বা তাঁর পরিবারের সাফাই মানতে নারাজ গ্রামবাসী। সোচ্চার হয়েছেন স্থানীয় পশুপ্রেমীরাও। ভবিষ্যতে যাতে এলাকায় এমন ঘটনা না ঘটে এবং অবলা প্রাণীর উপর কেউ অত্যাচার না করে, সেজন্য গণেশের উপযুক্ত শাস্তির দাবি তুলেছেন তাঁরা। যদিও সোমবার বিকাল পর্যন্ত এব্যাপারে থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি।