Coal Smuggling Case: লালা ঘনিষ্ঠ রত্নেশকে আসানসোল সিবিআই আদালতে পেশ
Coal Smuggling Case: ২০১৯ ও ২০২০ সালে পরপর দুবার ওপেন ওয়ারেন্ট ঘোষণা করা হয়েছিল। বহুদিন ধরে তার খোঁজ চালাচ্ছিল সিবিআই।ণদ
আসানসোল: ১৩ দিন সিবিআই হেফাজতে থাকার পর সোমবার আসানসোল সিবিআই আদালতে (Asansol CBI Court) আনা হয় কয়লা কাণ্ডে অভিযুক্ত লালা ঘনিষ্ঠ রত্নেশ ভার্মাকে (Ratnesh Verma )। গত ১ ফেব্রুয়ারি কয়লা পাচার মামলায় (Coal Smuggling Case) মূল অভিযুক্ত সুপ্রিম কোর্টের রক্ষাকবচে থাকা অনুপ মাজি ওরফে লালা ঘনিষ্ঠ রত্নেশ ভার্মাকে ১৩ দিনের হেফাজতে পায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে বলে বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী নির্দেশ দিয়েছিলেন। এই রত্নেশ ভার্মা ও বিনয় মিশ্রকে কয়লা পাচার মামলায় সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত থেকে পলাতক বা ফেরার ঘোষণা করা হয়েছিল। জানা গিয়েছে, ২০১৯ ও ২০২০ সালে পরপর দুবার ওপেন ওয়ারেন্ট ঘোষণা করা হয়েছিল। বহুদিন ধরে তার খোঁজ চালাচ্ছিল সিবিআই। কিন্তু তাঁকে খুঁজে পাচ্ছিল না সিবিআই। শেষ পর্যন্ত ৩১ জানুয়ারি খানিকটা অপ্রত্যাশিত ভাবেই সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে আত্মসমর্পণ করে রত্নেশ ভার্মা।
হীরাপুরের নরসুমদা কোলিয়ারি এলাকার বাসিন্দা এই রত্নেশ ভার্মা। সিবিআইয়ের অফিসাররা দু’বার তাঁর বাড়িতে নোটিস লাগিয়েছিলেন। কথা বলা হয়েছিল পরিবারের সদস্যদেরও সঙ্গে। তার সম্পত্তিও ক্রোক করার প্রক্রিয়া আদালতের নির্দেশে শুরু হয়েছিল। প্রসঙ্গত সিবিআই এই কয়লা পাচার মামলায় সে চার্জশিট আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে জমা দিয়েছে।তাতেও রত্নেশের নাম রয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত মাসেই তিনি আসানসোল সিবিআই আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। তাঁকে জেরা করেন সিবিআই আধিকারিকরা। যেহেতু গরু ও কয়লা পাচার মামলায় ইডি ও সিবিআই সমান্তরালভাবে তদন্ত করছে, আধিকারিকরা সেক্ষেত্রে তথ্য বিনিময় করেন। সেই জায়গা থেকেই বেশ কিছু নতুন সূত্র পান। তারপর দিল্লির ইডি টিম গত সপ্তাহে হানা দেয় বালিগঞ্জের নির্মাণ সংস্থা ‘গজরাজ গ্রুপ’ অফিসে। দিল্লি ইডি দফতরের আধিকারিকদের অভিযানের ব্যাপারে টেরই পাননি কলকাতার আধিকারিকরা। ১০-১২ জনের দিল্লির আধিকারিকদের দল হানা দেয় বালিগঞ্জে। উদ্ধার হয় কোটি টাকা। রত্নেশ ভর্মাকে জেরা করে বেশ কিছু নির্দিষ্ট সূত্র পায় ইডি। তা থেকে এই ‘গজরাজ গ্রুপ’ সম্পর্কে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে বলে খবর।