Coal Smuggling Case: আদৌ কি মিলবে জামিন? কয়লা পাচারকাণ্ডে আজ ফের ৮ ইসিএল কর্তাদের আদালতে পেশ

Coal Smuggling Case: পাণ্ডবেশ্বর এরিয়ার প্রাক্তন জেনারেল ম্যানেজার সুভাষ মুখোপাধ্যায়কে নিজাম প্যালেসে ডাকা হয়েছিল এবং ওই দিনই গ্রেফতার করা হয়।

Coal Smuggling Case: আদৌ কি মিলবে জামিন? কয়লা পাচারকাণ্ডে আজ ফের ৮ ইসিএল কর্তাদের আদালতে পেশ
আদালত চত্বরে ইসিএল কর্তারা (ফাইল চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 16, 2022 | 11:52 AM

আসানসোল: কয়লা পাচারকাণ্ডে জেল হেফাজতে থাকা ৮ ইসিএল আধিকারিককে আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতে পেশ করা হল। গত ১ অগস্ট অভিযুক্তদের আইনজীবীরা বিচারকের কাছে জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন। বিচারক ওই ৮ আধিকারিকের জামিনের আবেদন নাকচ করে দেন। তাঁদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি।

অভিযুক্তদের আইনজীবী আদালতে সওয়াল করেছিলেন, তাঁদের মক্কেলদের ৬০ বছরের ওপর বয়স, আসানসোলে নিজস্ব জমি, বাড়ি, ঘর, পরিবার রয়েছে। তাঁরা আসানসোল ছেড়ে যাবেন না, আশ্বস্তও করেছিলেন আইনজীবী। তদন্তের স্বার্থে যা যা প্রয়োজন সবই সাহায্য করবেন বলেও আশ্বাস দেন।

আইনজীবী সওয়াল করেন, প্রশ্ন তোলা হয় আদালতে চার্জশিট জমা দেওয়ার পরেও জামিন কেন নয় ইসিএল অধিকারিকদের। কোলিয়ারির বিভিন্ন এরিয়ার সিআইএসএফ কর্মীরা রয়েছেন, তাঁদেরকেও এই মামলায় এখনও পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি। এমনকি কয়লা চুরি রুখতে ইসিএল-এর তৈরি করা টাস্ক ফোর্সের কোন সদস্যকেই জিজ্ঞাসাবাদ করেনি সিবিআই। এই বিষয়গুলো তুলে ধরেই ৮ আধিকারিকদের জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন আইনজীবীরা।

তবে সেই যুক্তিকে নস্যাৎ করে বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী জানিয়েছিলেন, চার্জশিট জমা দেওয়ার পর আরও অনেক তথ্যের হদিশ দিয়েছে সিবিআই। তাই অভিযুক্তদের জামিন দিলে, তদন্ত কোনওভাবে প্রভাবিত হতে পারে। তাই পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয় ১৬ ই অগস্ট।

সিবিআই নিজাম প্যালেসেই প্রথমে ৭ জনকে গ্রেফতার করেছিল। ধৃতদের নাম ইসিএলের প্রাক্তন জেনারেল ম্যানেজার অভিজিৎ মল্লিক, সুশান্ত বন্দোপাধ্যায়, তন্ময় দাস, বর্তমান জেনারেল ম্যানেজার এসসি মৈত্র ও মুকেশ কুমার। এছাড়া দুজন নিরাপত্তারক্ষী হলেন দেবাশিস মুখোপাধ্যায় ও রিঙ্কু বেহারা। পরে পাণ্ডবেশ্বর এরিয়ার প্রাক্তন জেনারেল ম্যানেজার সুভাষ মুখোপাধ্যায়কে নিজাম প্যালেসে ডাকা হয়েছিল এবং ওই দিনই গ্রেফতার করা হয়।

সিবিআইয়ের অভিযোগ, ওই কোলকর্তারা বেআইনি কয়লা কারবারের মদত দিয়েছিল। অনুপ মাজি ওরফে লালার কাছ থেকে তাঁরা টাকার লেনদেন করেছেন। সেইসব বেশ কিছু হাতে লেখা ভাউচারও পাওয়া গেছে। সেই ভাউচারে রয়েছে অনুপ মাজি ওরফে লালা কোথায় কখন কাকে কত টাকা দিয়েছিলেন। আরও উল্লেখ্যযোগ্য বিষয় হল, ওই ভাউচারে ইসিএল কর্তাদের নামে কোডিং ডিকোডিং তথ্য, কিছু সাংকেতিক চিহ্ন রয়েছে। এই সঙ্কেতগুলো পাচারের ক্ষেত্রেও কোনও গোপন তথ্য বহন করছে বলে তদন্তকারীরা মনে করছেন। এই বিষয়গুলি থেকে সম্যক জ্ঞান পেতে চাইছেন তদন্তকারীরা।