Durgapur: ‘আমি ক্ষমাপ্রার্থী’, গলায় নাইলনের ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছে ফার্মেসি পড়ুয়া
Durgapur: দুর্গাপুরের বিধাননগরের ডা: মেঘনাদ সাহা সরণির বেসরকারি ফার্মেসি কলেজের বি-ফার্মের দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া। দুর্গাপুরের ফুলঝোড়ে ভাড়া বাড়িতে দুই পড়ুয়ার সঙ্গেই থাকতেন বিশাল।
![Durgapur: 'আমি ক্ষমাপ্রার্থী', গলায় নাইলনের ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছে ফার্মেসি পড়ুয়া Durgapur: 'আমি ক্ষমাপ্রার্থী', গলায় নাইলনের ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছে ফার্মেসি পড়ুয়া](https://images.tv9bangla.com/wp-content/uploads/2024/03/Durgapur-Suicide-1.jpg?w=1280)
দুর্গাপুর: ভাড়াবাড়ির রুমের ভেতরে সিলিং ফ্যানে নাইলনের দড়িতে ঝুলছে ফার্মেসি পড়ুয়ার মৃতদেহ। পকেটে রয়েছে সুইসাইড নোট। সেই সুইসাইড নোটে লেখা ‘আমার জন্য যদি কেউ কষ্ট পায় তাহলে আমি ক্ষমাপ্রার্থী। আমার মৃতদেহ দাহ না করে সমাধি দেওয়া হোক।’ চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দুর্গাপুরের ফুলঝোড় মোড় এলাকায় ঘটনা। মৃত পড়ুয়ার নাম বিশাল দাস(২১)। মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর সংলগ্ন রসুলপুরের বাসিন্দা।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্গাপুরের বিধাননগরের ডা: মেঘনাদ সাহা সরণির বেসরকারি ফার্মেসি কলেজের বি-ফার্মের দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া। দুর্গাপুরের ফুলঝোড়ে ভাড়া বাড়িতে দুই পড়ুয়ার সঙ্গেই থাকতেন বিশাল। রুম পার্টনার রাহুল দাস বিশালের সহপাঠী ও অন্যজন তন্ময় দত্ত অন্য একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্র।
জানা যাচ্ছে, শুক্রবার কলেজেও যাননি বিশাল। রুম পার্টনার তন্ময় দত্ত জানিয়েছেন, এই বাড়িতে একটি রুমে তিন জন থাকতেন। বিশাল শুক্রবার কলেজে যাননি। বাড়িতেই ছিল। তাঁরা কলেজ থেকে ফিরে গিয়ে দেখেন রুমের দরজা ভেতর দিকে বন্ধ। বিশালকে ফোন করার পরেও কোনও উত্তর মেলেনি। ভাড়াবাড়ির মালিককে বিষয়টি জানান তাঁরা । তারপর পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।
দুর্গাপুরের নিউটাউনশিপ থানায় পুলিশ পৌঁছে জানালা ভেঙে দেখতে বলেন। জানালা ভেঙে দেখেন সিলিং ফ্যানে ঝুলছে বিশাল। তারপরেই দরজা ভেঙে ভেতরে ঢোকা হয়। বিশালের পকেটে একটি সুইসাইট নোটও ছিল বলেও জানা গেছে । পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠায়। আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি ইস্ট অভিষেক গুপ্তা জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে আত্মহত্যা। তবে কী কারণে মৃত্যু খতিয়ে দেখা হচ্ছে।