Coal Smuggling Case: মাঝরাতে নিঃশব্দে কয়লা খনিতে ঢুকেছিল পাচারকারী দল, চুরিতে বাধা পেয়ে নিরাপত্তারক্ষীদের হামলা
Coal Smuggling Case: কয়লা চুরিতে বাধা পেয়ে ইসিএল নিরাপত্তারক্ষীদের ওপর হামলা দুস্কৃতীদের। গুরুতর আহত তিন।
আসানসোল: কয়লা পাচার মামলায় (Coal Smuggling Case) ইতমধ্যেই জোরদার তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই (CBI)। কিন্তু তারপরেও বাগে আনা যাচ্ছে না কয়লা চোরদের। অভিযোগ, আসানসোলে (Asansol) ফের ইসিএলের ডিপোতে হানা দিচ্ছে কয়লা পাচারকারীরা। চুরিতে বাধা পেয়ে ইসিএলের নিরাপত্তা রক্ষীদের উপর হামলা চালানোরও অভিযোগ উঠেছে। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটেছে ইসিএলের সাতগ্রাম এরিয়ার নিমডাঙা প্রোজেক্টে।
সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার রাত ৩টা নাগাদ সাতগ্রাম এরিয়ার নিমডাঙা প্রোজেক্টে কয়লা খনিতে কয়লা চুরি করতে আসে প্রায় দশ থেকে পনেরো জনের দুস্কৃতী। এদিকে দুষ্কৃতীদের দেখা মাত্রই তাঁদের বাধা দেয় নিরাপত্তারক্ষীরা। তখন পাল্টা নিরাপত্তারক্ষীদের উপর হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। গুরুতরভাবে আহত হন রাহুল চার, প্রতাপ বাউরি, ফকির বাউরি নামে তিন নিরাপত্তারক্ষী। এদিকে দুষ্কৃতীরা হামলা করতেই চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করেন আক্রান্ত নিরাপত্তারক্ষীরা। আর তখনই এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। আহত অবস্থাতেই গোটা ঘটনার কথা ফোনে কর্তৃপক্ষকে খুলে বলেন নিরাপত্তারক্ষীরা।
খবর যায় সিআইএসএফের কাছেও। তাঁরাও দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। আহত তিন নিরাপত্তারক্ষীকে ইসিএলের কাল্লা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদিকে এ ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা এলাকায়। ঘটনা প্রসঙ্গে ইসিএল আধিকারিক মহেন্দ কুমার বলেন, “রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ আমার কাছে ফোন আসে। দশ-পনেরোজন দুস্কৃতী কয়লা চুরি করতে এসেছে বলে জানতে পারি। ইসিএলের সিকিউরিটি গার্ডদেরও তাঁরা মারধর করে বলে জানতে পারি। এই ঘটনার পর আমরা জামুরিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করি।” অন্যদিকে এ ঘটনায় স্বভাবতই প্রশ্ন উঠেছে খনির নিরাপত্তা নিয়ে। নিরাপত্তার দাবিতে এদিন বিক্ষোভও দেখান খনির শ্রমিকরা। অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতারির দাবিও তোলা হয়।