WB Panchayat Election: ভোটের আগে রাস্তাতেই হাতাহাতিতে জড়ালেন পদ্মশিবিরের দুই নেতা!
বিজেপির জেলা নেতার অনুগামীর সঙ্গে এবিভিপির জেলা নেতার হাতাহাতি, মারধরের ভিডিয়ো প্রকাশ্য আসতেই শোরগোল পড়েছে চন্দ্রকোনায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে দুই নেতাকেই আটক করে পুলিশ। পরে অবশ্য তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই বিজেপিকে তীব্র কটাক্ষ করেছে শাসক দল।
চন্দকোনা: পঞ্চায়েত ভোট সামনে আসতেই রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সামনে এসেছে। এ বার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সাক্ষী থাকল পদ্মশিবিরের দুই নেতার হাতাহাতির। ফোনে একে অপরকে আগেই হুমকি দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। একে অপরের মুখোমুখি হতেই শুরু হয়ে গেল হাতাহাতি। এর জেরে গুরুতর আহত হয়েছেন দুই নেতাই। শনিবার সকালে এমনই মারধরের ঘটনাটি ঘটে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা পৌরসভার গোঁসাইবাজার এলাকায় ঘাটাল-চন্দ্রকোনা রাজ্য সড়কের ধারে। বিজেপির জেলা নেতার অনুগামীর সঙ্গে এবিভিপির জেলা নেতার হাতাহাতি, মারধরের ভিডিয়ো প্রকাশ্য আসতেই শোরগোল পড়েছে চন্দ্রকোনায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে দুই নেতাকেই আটক করে পুলিশ। পরে অবশ্য তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই বিজেপিকে তীব্র কটাক্ষ করেছে শাসক দল।
মারধরের ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, বিজেপি নেতা বুবুন সামুই ও শুভেন্দু মালসকে। শুভেন্দু পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা এবিভিপি’র নেতা। এই মারধরের ঘটনায় আরেকজনকে দেখা গিয়েছে। তিনি কখনও ছাড়াচ্ছেন, আবার কখনও মার খাচ্ছেন। তিনি হচ্ছেন ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সুদীপ কুশারি। এই তিন জনেরই বাড়ি চন্দ্রকোনায়। জেলা নেতা সুদীপ কুশারি উপস্থিত থাকলেও মারধরের ঘটনাটি হয়েছে মুলত এবিভিপি জেলা নেতা শুভেন্দু মালস ও জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সুদীপ কুশারির অনুগামী বুবুন সামুইয়ের সঙ্গে। ওই দুজনকে ছাড়াতে গিয়ে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন সুদীপ কুশারিও। প্রকাশ্য রাস্তায় মারধরের ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। ঘটনায় কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। কেন এই মারধরের ঘটনা ঘটল তা স্পষ্ট না হলেও একে অপরের এলাকায় ঢোকাকে কেন্দ্র করে বেশ কয়েকদিনের এই বিবাদ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তা থেকেই এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে সূত্রের খবর।
এ বিষয়ে এবিভিপি জেলা নেতা শুভেন্দু মালস বলেন, “আমাকে টাউনে ডেকেছিল। আমি টাউনে একটি চা দোকানে বসে চা খাচ্ছিলাম। হটাৎ দেখি বুবুন সামুই সুদীপ কুশারির উপস্থিতিতে আমাকে মারধর শুরু করে। তৃণমূল থেকে বিজেপিতে এসেছে সুদীপ কুশারি। বিজেপিতে এসে ছড়ি ঘোরাচ্ছে। তৃণমূলের সঙ্গে গোপন আঁতাত রয়েছে সুদীপ কুশারির।” যদিও এ বিষয়ে জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সুদীপ কুশারি বলেন, “দুজন নিজেদের ব্যক্তিগত ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েছিল। আমরা ছিলাম। ছাড়িয়ে দিয়েছি। দুজনে বসে চা খেয়ে বাড়ি গিয়েছে। তেমন কিছু হয়নি। এগুলো নিয়ে যাঁরা রাজনীতির রং চড়াতে চাইছেন তাঁরা ভুল করছেন।” আর এই মারধরের ঘটনাকে হাতিয়ার করে বিজেপিকে তীব্র কটাক্ষ করেছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস।