Kharagpur: তৃণমূলের ২৫ কাউন্সিলরের মধ্যে ২০ জন বিপক্ষে, প্রদীপকে চেয়ারম্যান পদ ছাড়ার নির্দেশ অজিতের
Kharagpur Municipality: খড়্গপুর পুরসভায় ৩৫ সদস্যের বোর্ড। তাঁদের মধ্যে তৃণমূল কাউন্সিলর রয়েছেন ২৫ জন। জানা গিয়েছে, এদের মধ্যে ২০ জন কাউন্সিলরই সই করেছেন চেয়ারম্যানের বিপক্ষে।
খড়্গপুর: খড়্গপুর পুরসভার (Kharagpur Municipality) চেয়ারম্যান প্রদীপ সরকারকে পুরপিতার পদ থেকে পদত্যাগের নির্দেশ। দুইদিন আগেই এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানালেন তৃণমূলের পশ্চিম মেদিনীপুর (Paschim Medinipur) জেলার কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতি (Ajit Maity)। তিনি বলছেন, দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ই তাঁকে এই কথাগুলি জানানোর জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। যদিও অজিত মাইতির দাবি, প্রদীপ সরকারকে বৃহত্তর কাজে ব্যবহার করা হবে। সেই কারণে তাঁকে পুরপিতার পদ ছেড়ে দিতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, খড়্গপুর পুরসভা নিয়ে সম্প্রতি বেশ টানাপোড়েন তৈরি হয়েছে। বর্তমান চেয়ারম্যান প্রদীপ সরকারের উপর অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন দলেরই কাউন্সিলরদের একাংশ। খড়্গপুর পুরসভায় ৩৫ সদস্যের বোর্ড। তাঁদের মধ্যে তৃণমূল কাউন্সিলর রয়েছেন ২৫ জন। জানা গিয়েছে, এদের মধ্যে ২০ জন কাউন্সিলরই সই করেছেন চেয়ারম্যানের বিপক্ষে। এমন এক পরিস্থিতির মধ্যে প্রদীপ সরকারকে চেয়ারম্যান পদ ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দিলেন অজিত মাইতি।
কিন্তু প্রদীপ সরকার সন্দেহ করছেন কাউন্সিলরদের বেঁকে বসার পিছনে কোনও চক্রান্ত থাকতে পারে। তিনি বলছেন, “এর পিছনে একটি ষড়যন্ত্র আছে। অনেক মানুষের হাত থাকতে পারে। আমি এখনও বিশ্বাস করি, যাঁরা সই করেছেন, তাঁরা আমার বিরুদ্ধে নয়। তাঁদের চাপ দিয়ে, ভয় দেখিয়ে বা প্রলোভন দেখিয়ে সই করানো হয়েছে। দল যে সিদ্ধান্ত নেবে তা আমি মেনে নেব। নৈতিক কারণে আমি মনে করি, ১৮ জন কাউন্সিলরই যদি আমার পক্ষে না থাকেন, তাহলে আমার সরে যাওয়াটাই ভাল।” সঙ্গে তাঁর আরও সংযোজন, “আমি থাকি বা না থাকি, কোথাও একটি চক্রান্ত হচ্ছে… দলের মধ্যে বিভেদ তৈরি হচ্ছে… এমন কী হয়ে গেল যে ছয় মাসের মধ্যে আমি খারাপ হয়ে গেলাম?”
যদিও প্রদীপ সরকার যে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন, সেই বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে অজিত মাইতি জানান, “সেটি হয়ত নিজের কথা ভেবে বলেছেন। কিন্তু গতরাতেও কথা হয়েছে আমার সঙ্গে। ওনার কিছু টেকনিক্যাল সাইড আছে পুরসভায়, সেগুলি শেষ করে আজ-কালের মধ্যে পদত্যাগ করে দেবেন বলে জানিয়েছেন। বাকি সংবাদমাধ্যমের কাছে কী বলেছেন, তা আমার জানা নেই।”