TMC Leader: ‘ডাকাত দলের লোক চোর ধরতে এলে পিছমোড়া করে পুলিশের হাতে তুলে দিন’, বিতর্কিত মন্তব্য তৃণমূল নেতার

TMC Leader: চন্দ্রকোনা ২ নম্বর ব্লকেও এদিন একটি প্রতিবাদ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। সেখানেই মিছিল শেষে বক্তব্য রাখতে গিয়ে চন্দ্রকোনা ২ নম্বর ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হিরালাল ঘোষের মুখে শোনা গেল বিতর্কিত মন্তব্য।

TMC Leader: ‘ডাকাত দলের লোক চোর ধরতে এলে পিছমোড়া করে পুলিশের হাতে তুলে দিন’, বিতর্কিত মন্তব্য তৃণমূল নেতার
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 13, 2022 | 10:50 PM

চন্দ্রকোনা: ‘বিজেপি একটি অসভ্য ও ইতরের দল। অন্যদের চোর সাব্যস্ত করার জন্য সক্রিয়তা দেখাচ্ছে।’ শনিবার এ ভাষাতেই রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন চন্দ্রকোনা (Chandrakona) ২ নম্বর ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হিরালাল ঘোষ। যা নিয়েই জোরদার চর্চা চলছে জেলার রাজনৈতিক মহলে। এদিকে ইডি-সিবিআইয়ের (ED-CBI) সক্রিয়তার বিরুদ্ধে বর্তমানে গোটা রাজ্যেই প্রতিবাদ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress)। চন্দ্রকোনা ২ নম্বর ব্লকেও একটি প্রতিবাদ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। সেখানেই মিছিল শেষে বক্তব্য রাখতে গিয়ে চন্দ্রকোনা ২ নম্বর ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হিরালাল ঘোষের মুখে শোনা গেল এ কথা। 

এদিন মিছিল শেষে বক্তব্য রাখতে গিয়ে হিরালাল বলেন, “আজকে গোটা ভারতবর্ষে নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহ যে ধরনের একটা প্রচেষ্টা নিয়েছেন, সম্পূর্ণ ভাড়াটিয়া লোক দিয়ে এ রাজ্যে যে অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা হচ্ছে তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদের জন্য আমি চন্দ্রকোনা ব্লকের সমস্ত স্তরের মানুষদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে নামার ডাক দেব। বিশেষ করে বিজেপির মতো একটা সাম্প্রদায়িক শক্তি গ্রামেগঞ্জে কোনও অশান্তি করতে এলে আমি পুলিশ প্রশাসনকে বলব আপনারা সক্রিয় থাকুন। আমাদের দলের কর্মীদের বলব কোনওভাবে প্রশ্রয় দেবেন না। ওই দলটা অসভ্য-ইতরদের দল। ওরা ডাকাতি করে দিনেরবেলায়। অন্যদের চোর সব্যস্ত করার জন্য সক্রিয়তা দেখাচ্ছে। কাজেই ডাকাত দলের লোক যদি বাজারে চোর ধরতে বের হয় তাহলে ওদের পিছমোড়া করে বেঁধে পুলিশের হাতে তুলে দিতে হবে।”

অন্যদিকে অনুব্রতর গ্রেফতারির পর রাগে ফুঁসছেন বীরভূমের একাধিক তৃণমূল নেতা। বিরোধীদের বিরুদ্ধে লাগাতার আক্রমণ শানিয়ে চলেছেন। সম্প্রতি বীরভূমের ইলামবাজারের তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক দুলাল রায় বলেন, “কেউ যদি গুড় বাতাসা বিলি করেন, তাহলে পিঠে চড়াম চড়াম পড়বে। হাজার হাজার অনুব্রত জন্ম দেবে। আমরা সবাই মিলে অনুব্রত মণ্ডলের কাজ-দায়িত্বটা ভাগাভাগি করে নেব।” অন্যদিকে রামপুরহাটের তৃণমূল নেতা ত্রিদিব ভট্টাচার্য আবার বলেন, “গত দু’দিন ধরে দেখছি বিরোধীরা নাচানাচি করছে।বিধানসভা ভোটের পর সব ইঁদুরের গর্তে ঢুকে গিয়েছিল। সবাইকে চিহ্নিত করে রাখছি। সময় হলে সবাইকে দেখে নেব। ইঁদুরের গর্তে সিমেন্ট দিয়ে সিল করে দেব।” যা নিয়েও জোরদার বিতর্ক চলছে রাজনৈতিক মহলে।