Sushanta Ghosh: ‘গলায় গামছা দিয়ে টাকা আদায় করবে জনতা’, শাসকদলকে হুঁশিয়ারি সিপিএম নেতার
‘বাতিল করো লুঠেরাদের পঞ্চায়েত, গড়ে তোলো জনগণের পঞ্চায়েত’- এমনই স্লোগানকে সামনে রেখে একাধিক দাবি দাওয়া নিয়ে বসনছোড়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় একটি পদযাত্রার আয়োজন করা হয়।
চন্দ্রকোণা: শাসকদল তৃণমূলকে কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন সিপিএম নেতা সুশান্ত ঘোষ। জব কার্ডে জালিয়াতি করে তৃণমূল পঞ্চায়েত থেকে সাধারণ মানুূষের টাকা মেরেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। মানুষ ক্ষেপে গেলে সেই টাকা আদায় করবে বল শাসক দের নেতাদের হুঁশিয়ারি দিলেন এই বাম নেতা। এমনকি এই পরিস্থিতিতে পুলিশও তৃণমূল নেতাদের উদ্ধার করতে পারবে না বলে সতর্কবার্তা সুশান্তের। রবিবার বিকালে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনার পলাশচাবাড়িতে একটি কর্মিসভায় যোগ দিয়েছিলেন সুশান্ত। সেখানেই এ কথা বলেছেন তিনি। সিপিএম নেতা সুশান্ত বলেছেন, “পঞ্চায়েত তৈরি করার পরে জব কার্ডের কত টাকা কার ঘরে ঢুকেছে মানুষ জানে। মানুষ তা গলায় গামছা দিয়ে তা আদায় করে আনবে। কারও ক্ষমতা নেই রুখে দিতে। পুলিশও পারবে না আপনাদের রক্ষা করতে। মানুষ যদি ক্ষেপে যায় রক্ষা নেই। ভুয়ো জব কার্ড বানিয়ে জব কার্ডের কাজে দুর্নীতি, আর এর ফলে এক বছর ধরে জব কার্ডের টাকা বন্ধ। ফলে কাজ পায়নি মানুষজন।”
রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা সিপিআইএমের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক সুশান্ত ঘোষ এ দিন নাম না করে পার্থ চ্যাটার্জি থেকে অনুব্রত মণ্ডল- শাসকদলের বড় নেতাদের বিরুদ্ধে তীব্র কটাক্ষ করেছেন। এমনকি এদিন প্রকাশ্য সভা মঞ্চ থেকে অনুব্রতকে ‘এঁড়ে নেতা’ বলে কটাক্ষ করেছেন সুশান্ত ঘোষ। রবিবার চন্দ্রকোনায় সিপিআইএমের এরিয়া কমিটির উদ্যোগে, ‘বাতিল করো লুঠেরাদের পঞ্চায়েত, গড়ে তোলো জনগণের পঞ্চায়েত’- এমনই স্লোগানকে সামনে রেখে একাধিক দাবি দাওয়া নিয়ে বসনছোড়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় একটি পদযাত্রার আয়োজন করা হয়। সেই পথযাত্রায় সামিল হয়, সিপিআইএমের জেলা সম্পাদক সুশান্ত ঘোষ, পদযাত্রা শেষে পলাশচাপড়ি বাজারে একটি প্রকাশ্য কর্মিসভার আয়োজন করা হয়। আর সেই সভা মঞ্চ থেকেই শাসকদল তৃণমূলকে তীব্রভাবে কটাক্ষ করেন সুশান্ত ঘোষ। যদিও তীব্র দাবদাহকে উপেক্ষা করে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বামেদের এই কর্মসূচিতে কর্মীদের উপস্থিত দেখে কিছুটাও বাড়তি অক্সিজেন পেল নেতাকর্মীরা।
এ বিষয়ে চন্দ্রকোনা তৃণমূল বিধায়ক অরূপ ধাড়া বলেন, “ভোট আসলেই এদের দেখা যাচ্ছে। তা ছাড়া সারা বছর এদের দেখা যায় না। আমাদের সরকার মানুষের পাশে আছে মানুষের সুখ দুঃখের কথা ভাবে। সিপিএম-কে তো অনেকদিন আগেই মানুষ মন থেকে মুছে ফেলেছে।”