School: সবংয়ের স্কুলে ‘শিবরাত্রি সলতে’ সন্দিপ, ‘নিভলেই’ ৮০ জন ছাত্র-ছাত্রীর চোখে অন্ধকার

School: আছে ছাত্র-ছাত্রী, কিন্তু নেই শিক্ষক। সবংয়ের মানিকড়ি জুনিয়র হাইস্কুল চলছে একজন শিক্ষকের উপর ভর করেই।

School: সবংয়ের স্কুলে ‘শিবরাত্রি সলতে’ সন্দিপ, ‘নিভলেই’ ৮০ জন ছাত্র-ছাত্রীর চোখে অন্ধকার
সবংয় মানিকড়ি জুনিয়র হাইস্কুল
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 06, 2022 | 12:46 PM

সবং: আছে আস্ত স্কুল, রয়েছে ক্লাস ভর্তি পড়ুয়া। কিন্তু, শিক্ষকের অভাবে শিকেয় উঠেছে স্কুলের (School) পঠনপাঠন। সবংয়ের (Sabang) মানিকড়ি জুনিয়র হাইস্কুলের দুরাবস্থা নিয়ে বর্তমানে চাপানউতর তৈরি হয়েছে জেলার শিক্ষা মহলে। সূত্রের খবর, বর্তমানে এই সরকারি স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা প্রায় ৮০। কিন্তু, শিক্ষকের সংখ্যা মাত্র ১। অভিভাবকদের অভিযোগ, ১ জন শিক্ষকের পক্ষে স্কুলের পঠনপাঠন স্বাভাবিক রাখা কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়েছে। পড়ুয়াদের পড়াশোনাও ঠিক মতো হচ্ছে না। যার জেরে সম্প্রতি বহু পড়ুয়াই আর আসছে না স্কুলে।

অভিযোগ, শিক্ষকের অভাবে স্কুলের সামগ্রিক কার্যকলাপ ধুঁকলেও হেলদোল নেই প্রশাসনের। ৮ মাসের বেশি সময় ধরে স্কুলের এই হাল হয়ে থাকলেও শিক্ষা দফতরের কোনও কর্মকর্তা স্কুলটি দেখতে পর্যন্ত আসেননি। আর তাতেই পড়ুয়াদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে চিন্তায় অভিভাবকরা। পড়ুয়াদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে ঘুম ছুটেছে তাঁদের। ক্ষোভ বাড়ছে এলাকাবাসীদের। তাঁদের দাবি, ২০১০ সাল থেকে এই স্কুলে পড়াশোনা চলছে। আগে এতটা সমস্যা না থাকলেও বিগত কয়েক বছর ধরে ধীরে ধীরে নামছে স্কুলের পড়াশোনার মান। যার জেরে এলাকার বহু মানুষই তাঁদের সন্তানদের আর স্কুলে ভর্তি করেননি। পাঠিয়েছেন পাশ্ববর্তী অন্যান্য় স্কুলে। 

সূত্রের খবর, ২০২২ সালে ওই স্কুলের দায়িত্ব পান সন্দীপ পতি। প্রথম থেকে স্কুলে ছিলেন মোট ৪ জন শিক্ষক। কিন্তু, সম্প্রতি ৩ জন শিক্ষক অন্য স্কুলে চলে যাওয়ায় স্কুলের সমস্ত দায়িত্ব এসে পড়ে সন্দীপবাবুর উপর। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন স্কুলের একজন গ্রুপ ডি কর্মী। দুজনে মিলে চালাচ্ছিলেন স্কুলের যাবতীয় কার্যক্রম। বাধ্য হয়ে এলাকার বাসিন্দারা নিজেদের সন্তানদের স্বার্থে চাঁদা তুলে একজন শিক্ষক নিয়োগ করেছেন। যদিও তারপরেও পঠনপাঠনে বিশেষ সুবিধা হয়নি। ছাত্র-শিক্ষক অনুপাত কম হওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে পড়াশোনা। অষ্টম শ্রেনীর ছাত্র সায়ন বেরা বলে, “শিক্ষকের অভাবে পড়াশোনায় অনেক ক্ষতি হচ্ছে। আমরা চাই দ্রুত স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ হোক।” আর এক ছাত্রী বলে, “আমাদের প্রতিটা বিষয়ের শিক্ষকরা স্কুলে এলে পড়াশোনা আরও ভাল হবে। আমরা চাই দ্রুত শিক্ষক নিয়োগ হোক।” শিক্ষক সন্দীপ পতি বলেন, “সংবাদের মধ্যে যদি সরকারের টনক নড়ে তাহলে কৃতজ্ঞ থাকব। আমি ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। আমিও চাই স্কুলে দ্রুত শিক্ষক নিয়োগ হোক।” “উপরের কোনও চাপ আছে মনে হয় তাই নিয়োগ হচ্ছে না। এক শিক্ষকে কী স্কুল চলে?”, প্রশ্ন স্থানীয় বাসিন্দা গোপাল কুমার মণ্ডলের।