Medinipur: মুখ খুললেই বিপদ! দুর্নীতি রুখতে প্রশাসন পদক্ষেপ করলেও ভয় কাটছে না চাষিদের
Medinipur: আলু চাষ করতে গিয়ে কৃষকরা সার ও আলুর বীজ কিনতে সমস্যায় পড়েন। তাই যাতে চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে ব্যাপারে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোণায় ১ ব্লকের বিডিও অফিসে প্রশাসনিক বৈঠক। সার ও আলু ব্যবসায়ীর সঙ্গে জরুরি ভিত্তিক বৈঠক, চাষিদের সহযোগিতা করার জন্য।
মেদিনীপুর: প্রশাসনের তরফ থেকে রাসায়নিক সার ও আলুর কালো বাজারির রুখতে একাধিক মিটিং হলেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না বলে অভিযোগ কৃষকদের। তাদের দাবি চড়া দামে কিনতে হচ্ছে রাসায়নিক সার। প্রতিবাদ করলে হয়তো মিলবে না সার, তাই মুখ বুজে চাষিদের চড়া দামেই কিনতে হচ্ছে রাসায়নিক সার। এমনই দাবি কৃষকদের। রাসায়নিক সার, আলু বীজের কালোবাজারি ঠেকাতে ব্যবসায়ী ও কোল্ড স্টোরেজ মালিকদের নিয়ে ইতিমধ্যে ঘাটাল, চন্দ্রকোণা-সহ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রশাসনিক বৈঠক হয়েছে, এমনকি আজও চন্দ্রকোণায় সার ব্যবসায়ীদের নিয়ে মহকুমাশাসক বৈঠক করলেন। কিন্তু চাষিদের বক্তব্য, বৈঠক হচ্ছে বটে, কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না।
আলু চাষ করতে গিয়ে কৃষকরা সার ও আলুর বীজ কিনতে সমস্যায় পড়েন। তাই যাতে চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে ব্যাপারে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোণায় ১ ব্লকের বিডিও অফিসে প্রশাসনিক বৈঠক। সার ও আলু ব্যবসায়ীর সঙ্গে জরুরি ভিত্তিক বৈঠক, চাষিদের সহযোগিতা করার জন্য। এদিন বৈঠকে জানানো হয়, সঠিক দামে সার সরবরাহ করা, সঠিক দামে আলু বীজ দেওয়া, কোল্ড স্টোরেজে মজুত করা বীজগুলির গুণগত মান সঠিক রাখার কথা বলা হয়।
উপস্থিত ছিলেন উপস্থিত ছিলেন ঘাটালের মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস, চন্দ্রকোণার বিধায়ক অরূপ ধাড়া, চন্দ্রকোনা ১ ব্লকের বিডিও কৃষ্ণেন্দু বিশ্বাস, চন্দ্রকোণা ১ ব্লকের সহ কৃষি অধিকর্তা সঞ্জয় মন্ডল-সহ প্রশাসনিক কর্তারা। আশা করা যাচ্ছে, এলাকার চাষিরা অনেকটাই উপকৃত হবে।
যদিও এলাকার কৃষকদের দাবি, প্রশাসন মিটিং করলেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না, সারের ব্যবসায়ীরা নিজেদের মতোই ব্যবসা করছে। প্যাকেটে যে মূল্য লেখা আছে তার থেকে বেশি মূল্য দিয়ে কিনতে হচ্ছে সার। অনেক সময় পাকা রশিদও মিলছে না। কিন্তু প্রতিবাদ করতে সাহস পাচ্ছে না কৃষকেরা। ক্যামেরার সামনে কৃষকদের দাবি অনেকেই হয়তো ধারে ক্রয় করতে হয় সার, কিন্তু প্রতিবাদ করলে সেই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবে কৃষকরা। তাই তারা ভয়ে মুখ খুলছে না। কৃষকদের দাবি, প্রশাসন তৎপরতার সঙ্গে নজরদারি চালালে হয়তো এই কালোবাজারি বন্ধ হবে, তাতে কৃষকদের সুবিধা হবে।