WMID Flood: ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছে ঘাটাল, কমতে শুরু করেছে নদীর জলস্তর

Paschim Medinipur: রবিবার সকাল থেকে মেঘলা থাকে আকাশ। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী. ভারী বৃষ্টি হলে আবারও নতুন করে প্লাবিত হবে ঘাটালের বিস্তীর্ণ এলাকা।

WMID Flood: ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছে ঘাটাল, কমতে শুরু করেছে নদীর জলস্তর
ঘাটালে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে (ছবি- এএনআই)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 19, 2021 | 9:11 AM

পশ্চিম মেদিনীপুর: চার দিন পর বন্যার জল কমতে শুরু করেছে ঘাটালে (Ghatal)। আস্তে আস্তে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে ঘাটালের বানভাসি মানুষের জনজীবন। জল কমেছে ঘাটাল, শিলাবতি ও চন্দ্রকোনা নদীগুলিতে। এখনও ডুবে রয়েছে রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি নৌকো, ডিঙি চড়ে চলছে পারাপার। নিচু এলাকাগুলিতে দেখা দিয়েছে পানীয় জলের সঙ্কট। কিছুটা স্বস্তি ফেরার মাঝেই আবার দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছে আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস।

রবিবার সকাল থেকে মেঘলা থাকে আকাশ। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী. ভারী বৃষ্টি হলে আবারও নতুন করে প্লাবিত হবে ঘাটালের বিস্তীর্ণ এলাকা। তাই দুশ্চিন্তায় প্রহর কাটাচ্ছেন ঘাটালের বানভাসি মানুষ।

বৃহস্পতিবারই কেলেঘাই নদীর বাঁধ ভেঙেছে ৬ নম্বর চাইলকুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের শ্যামকিশোরপুর এলাকায়। বেশ কয়েক ফুট নদী বাঁধ ভেঙে পরপর বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবনের আশঙ্কা করছে স্থানীয় প্রশাসনের। ওই সমস্ত গ্রামের কয়েক হাজার মানুষকে পার্শ্ববর্তী উঁচু সরকারি জায়গাতে স্থানান্তরিত করা হয়।

ঘাটাল সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল চত্বরে জল জমে দুর্ভোগে পড়েন রোগীর আত্মীয়-সহ স্বাস্থ্যকর্মীরা। নিকাশি ব্যবস্থা বেহাল থাকায় বৃষ্টি হলেই সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল চত্বরে জমে হাঁটু সমান জল। দুর্ভোগে পড়তে হয় রোগীর আত্মীয় সহ স্বাস্থ্যকর্মীদের।

ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান ও জলে ডুবেছে। হাসপাতালে আসা বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রোগীর আত্মীয়দের অভিযোগ, বেহাল নিকাশি নালার কারণেই বৃষ্টি হলেই হাসপাতাল চত্বরে জল জমে যায়।

অবিরাম বৃষ্টির জেরে কেশিয়াড়ি ব্লকের ইতিমধ্যেই প্রায় দুশোটির কাছাকাছি কাঁচা বাড়ি ভেঙে পড়ে বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। ইতিমধ্যেই রাতে দেয়াল চাপা পড়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

এক মাস আগের বন্যার ক্ষত এখনও সারেনি, ঝুমী নদীর জলের তোড়ে ভেঙেছিল একাধিক কাঠের সাঁকো, সমস্যায় পড়েছিলেন মনসুকা গ্রামের বাসিন্দারা। যাতায়াতের জন্য জল কমতেই বাঁশ ও কাঠের সাঁকো পুনরায় তৈরি করেছিলেন তাঁরা। আবার বৃষ্টির ফলে ঝুমী নদীর জল বাড়ায় সমস্ত সাঁকো জলের তোড়ে ভেঙে পড়ে।

ফলে নদীতে রাতদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌকোতে করতে হচ্ছে পারাপার। যে কোনও সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। সেতুগুলি ভেসে যাওয়ায় এলাকাবাসীর একমাত্র উপায় নৌকা। এর ফলে মনসুকা ১ -২ গ্রাম পঞ্চায়েত মানুষ ও হুগলি ও মেদিনীপুর দুই জেলার দূরদুরন্ত থেকে আসা মানুষদের ব্যাপক ভোগান্তির সম্মুখীন হতে হয়েছে।

আরও পড়ুন: Hiran Chatterjee: ‘….আমি এর বিরোধিতা করে পারছি না’, দিলীপ ঘোষের উল্টো পথে হেঁটে কীসের ইঙ্গিত খড়্গপুর বিধায়ক হিরণের?

আরও পড়ুন: Covid Vaccination: কেন্দ্রের রেকর্ড টিকাকরণের পরদিনই বাংলাও নজির গড়ল! এও কি টেক্কার লড়াই, উঠছে প্রশ্ন