বাড়ি থেকে পালিয়ে… লকডাউনে পুলিশি নাকা চেকিংয়ে ধরা পড়ল যুগল, ফিরতে হল বাড়ি
নাবালিকার সম্পর্ক মানবে না পরিবার। বাড়ি থেকেও বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছিল। জানতে পারে প্রেমিক। প্রেমিকাকে নিয়ে পালানোর পরিকল্পনা করে সে। সেই মতো গাড়ি করে পালায়ও তারা। কিন্তু পুলিশের নাকা চেকিংয়ে ধরা পড়ে গেল প্রেমিক যুগল।
মেদিনীপুর: বাড়ির লোক সম্পর্ক মানবে না। তাই পালিয়ে বিয়ে করার পরিকল্পনা করেছিল যুগল। কিন্তু বাধ সাধল লকডাউন। পুলিশের নাকা চেকিংয়ে ধরা পড়ল নাবালক প্রেমিক-প্রেমিকা। ফেরানো হল পরিবারের কাছে। ঘটনাটি ঘটেছে মেদিনীপুর শহরে।
নাবালিকার সম্পর্ক মানবে না পরিবার। বাড়ি থেকেও বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছিল। জানতে পারে প্রেমিক। নাবালিকা প্রেমিকাকে নিয়ে পালানোর পরিকল্পনা করে সে। সেই মতো গাড়ি করে পালায়ও তারা। কিন্তু পুলিশের নাকা চেকিংয়ে ধরা পড়ে গেল প্রেমিক যুগল। তাদের বাড়িতে খবর পাঠাল কোতোয়ালি থানার পুলিশ।
জানা গিয়েছে, একটি মারুতি গাড়ি করে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা থানার রামজীবনপুর এলাকা থেকে বেরিয়ে পড়েছিল নাবালিকা। সঙ্গে ছিল কেশপুর ব্লকের আনন্দপুর থানা এলাকার এক যুবক। পরিকল্পনা ছিল গুরগুরিপাল থানা এলাকার লেলুয়া গ্রামে এক আত্মীয়ের বাড়িতে উঠবে তারা। এদিকে কার্যত লকডাউনে পুলিশের নাকা চেকিং চলছে রাস্তায়-রাস্তায়। মেদিনীপুর জেলা কালেক্টরেট মোড়ে ওই মারুতি গাড়িটিকে আটকায় কোতোয়ালি থানার পুলিশ। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে জড়সড়ো হয়ে যায় যুগল। সন্দেহ হয় পুলিশের। তাদের গাড়ি থেকে নামিয়ে খোঁজ খবর শুরু করে তারা। জানা যায়, নাবালিকা অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। রামজীবনপুর এলাকায় বালিকা বিদ্যালয়ে পড়ে সে। বাড়ি থেকে জোর করে বিয়ে দিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছিল। তাই পালিয়েছে সে।
আরও পড়ুন: দেরি হলে হয়ত আর হবে না! করোনা ওয়ার্ডেই বিয়ে সারলেন যুগল
নাবালিকা পুলিশকে আরও জানায়, বাড়ির লোক বিয়ের আয়োজন করেছে। আগামী রবিবারই তার বিয়ে। কিন্তু এই বিয়ে সে করবে না। তাই বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েছে। কোনও ভাবে আর বাড়িতে ফিরবে না বলে পুলিশকে অনুরোধ করে। যদিও পুলিশের তরফে বুঝিয়ে-সুঝিয়ে তাদের বাড়ি ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়। তবে নাবালিকার বিয়ে দেওয়ার সত্যিই চেষ্টা হচ্ছে কিনা সে খবরও নিচ্ছে পুলিশ।