TMCP: পুজোর ছুটি শেষে ক্লাস খুলতেই উত্তপ্ত কেশপুর, রক্তে ভিজল কলেজ প্রাঙ্গণ

TMCP-র গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জের, পূজোর ছুটির পর কলেজ খোলার প্রথম দিনই উত্তপ্ত কেশপুর কলেজ, আহত ৭।

TMCP: পুজোর ছুটি শেষে ক্লাস খুলতেই উত্তপ্ত কেশপুর, রক্তে ভিজল কলেজ প্রাঙ্গণ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 01, 2022 | 4:47 PM

কেশপুর: পুজোর ছুটি কাটিয়ে এদিনই প্রথম খুলছিল কলেজ। কিন্তু, প্রথমদিনই গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তপ্ত কেশপুর কলেজ (Keshpur College)। সূত্রের খবর, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (Trinamool Chatra Parishad) দুই গোষ্ঠীর সদস্যদের মধ্যে এদিন আমচকাই সংঘর্ষ বেঁধে যায়। কার্যত ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়ে যায় কলেজ চত্বরে। লাঠি, উইকেট হাতে নিয়ে দুপক্ষের সদস্যরা একে অপরের উপরচড়াও হয়। দুই গোষ্ঠীর প্রায় ৭ জন আহত হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। তাঁদের ভর্তি করা হয়েছে কেশপুরের গ্রামীণ হাসপাতালে। 

চারজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানা যাচ্ছে। তাঁদের মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার কলেজ খোলার পর কলেজে এসে বেশ কিছু পড়ুয়া অধ্যক্ষের রুমের সামনে তাঁদের দাবিদাওয়া নিয়ে যায়। অধ্যক্ষের কাছে ডেপুটেশন জমা দেওয়ারও জোড়জোড় শুরু হয়। তাঁর ঘরের সামনে বিক্ষোভও দেখানো হয়। তাঁরা সকলেই তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্য বলে খবর। 

সূত্রের খবর, যে সময় অধ্যক্ষের ঘরের সামনে বিক্ষোভ দেখানো হচ্ছিল তখনই সেখানে গোলমাল শুরু হয়ে হয়। এদিকে সেই সময় অপর একটি গোষ্ঠীর তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরাও পৌঁছায় কলেজে। তাঁরাও চলে যায় অধ্যক্ষের ঘরের সামনে। অভিযোগ, কলেজের ইউনিয়ন রুমে থাকা ব্যাট এবং উইকেট হাতে নিয়ে এক গোষ্ঠী অপর গোষ্ঠীর ছাত্রদের বেধড়ক মারধর করে। তবে কলেজের আক্রান্ত পড়ুয়াদের অভিযোগ অধ্যক্ষই বহিরাগতদেক ডেকে তাঁদের মারধর করিয়েছেন। তবে সূত্রের খবর, যাদের বহিরাগত বলে দাগানো হচ্ছে তাঁরা সকলেই তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্য। তবে এ ঘটনা এই প্রথম নয় বলে জানা যাচ্ছে। কেশপুর কলেজে এই দুই গোষ্ঠীর বিবাদ দীর্ঘদিন থেকেই চলে আসছে। বিবাদ না মিটলেও পড়ুয়াদের এতটা মারমুখী হয়ে উঠতে কখনই দেখা যায়নি বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের। কিন্তু, এদিন একেবারে কলেজ চত্বরেই রক্তারক্তি কাণ্ড বেঁধে যাওয়ায় অস্বস্তি বেড়েছে শাসকদলের।

এই প্রসঙ্গে সাংসদ তথা অভিনেতা দীপক অধিকারীকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, “আমার কলেজে কোন গন্ডগোল নেই, আমি প্রথম দিনে এসে কলেজে বলেছিলাম কলেজে কোনও রাজনীতি হবে না। বাচ্চাদের এই সময়টা স্বপ্ন দেখার সময়। এই সময়টা যদি রাজনীতি করে তবে এই সময়টা ফিরে আসবে না। আর এই সময় গুরুত্ব না দিলে একদিন হয়তো সময়টা হারিয়ে যাবে। যাঁরা কলেজের দায়িত্বে আছে তাঁদের এই জিনিসটা বোঝানো উচিত।”