Medinipur: ‘পাল্টিবাজ’ ‘দলবদলু’, অর্পিতাদের হাতে জুন পতাকা দিতেই ‘যা ইচ্ছা তাই’ বললেন লোকজন

TMC to BJP Joining: সম্প্রতি, দু'দিন আগে মেদিনীপুর পৌরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের একসময়ের বহিস্কৃত তৃণমূল নেতাকে ফের তৃণমূলে যোগদান করানোর প্রতিবাদে এলাকার মানুষ পোস্টারিং করে। মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী জুন মালিয়া নির্দল কাউন্সিলর অর্পিতা নায়েক ও তাঁর স্বামী বিশ্বেশ্বর নায়েককে তৃণমূলে যোগদান করেছিলেন। ব্যাস তারপর থেকেই শুরু যত গন্ডগোল।

Medinipur: 'পাল্টিবাজ' 'দলবদলু', অর্পিতাদের হাতে জুন পতাকা দিতেই 'যা ইচ্ছা তাই' বললেন লোকজন
দলবদলের পরই পোস্টারImage Credit source: Tv9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 22, 2024 | 1:13 PM

মেদিনীপুর: তৃণমূল আগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিল একবার দল ছাড়লে পুনরায় দলে ফেরানো যাবে না। কিন্তু গোটা রাজ্যেই যদিও ধরা পড়েছে ভিন্ন ছবি। একাধিক জায়গায় দলবদলুদের পুনরায় ফেরানো হয়েছে তৃণমূলে। এই আবহে এবার বিক্ষোভের আঁচ মেদিনীপুরে। সেখানে তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত হওয়া নেত্রী ও তাঁর স্বামীকে জুন মালিয়া দলে ফেরাতেই শুরু কটাক্ষ। পড়ল পোস্টারও। লেখা হল ‘পাল্টিবাজ নেতা, নিজের স্বার্থে এক দল থেকে অন্য দলে ঘুরে বেড়াচ্ছে।’

ঠিক কী ঘটেছে?

সম্প্রতি, দু’দিন আগে মেদিনীপুর পৌরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের একসময়ের বহিস্কৃত তৃণমূল নেতাকে ফের তৃণমূলে যোগদান করানোর প্রতিবাদে এলাকার মানুষ পোস্টারিং করে। মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী জুন মালিয়া নির্দল কাউন্সিলর অর্পিতা নায়েক ও তাঁর স্বামী বিশ্বেশ্বর নায়েককে তৃণমূলে যোগদান করেছিলেন। ব্যাস তারপর থেকেই শুরু যত গন্ডগোল। এ প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা অর্ঘ্য চক্রবর্তী বলেনে, “দলের শক্তি বেড়েছে। গত বিধানসভা নির্বাচনে প্রচুর ভোটে লিড দিই। কিন্তু এইবার দেখলাম ওই দুজন হাজার হাজার কর্মী নিয়ে ঢুকেছেন। তাহলে এইবার নিশ্চয় বিজেপি শূন্য হয়ে যাবে।” আরও এক গ্রামবাসী বলেন, “ওরা তো পাল্টিবাজ। এক দল থেকে অন্য দল করে বেড়ায়। কেন ওদের নেওয়া হল।”

পড়েছে পোস্টারও

ঘটনার পর থেকে একদিকে যেমন ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ। তেমনই দলের উপর ক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মীরা। সরাসরি ক্যামেরার সামনে অর্পিতা ও বিশ্বেশ্বরকে পাল্টিবাজ আখ্যা দিলেন। শুধু তাই নয়, জানিয়ে দিলেন সাধারণ তৃণমূল কর্মীরা মেনে নেবে না এদের। যারা জয়েনিং করিয়েছেন তাঁরাই বুঝবেন। এমনকী তাঁদের ‘বিজেপি’ বলে কটাক্ষ করে অভিযোগকারীরা বলেছেন, এদের যোগদানের ফলে এলাকায় আর কোনও বিজেপি কর্মীই থাকবে না। অপরদিকে, বিশ্বেশ্বর নায়েক বলেন, “দল আমায় নিয়েছে। এর থেকে বেশি কিছু বলতে পারব না। তবে পুরো ব্যাপারটা আমি জানিয়েছি।”