MP Dev: দেবের তহবিলের লক্ষ লক্ষ টাকায় কেনা ‘হাই মাস্ট লাইট’ অকেজো! ক্ষোভে ফুঁসছে পুরবাসী
Medinipur: মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল ব্লকের ১০টি ওয়ার্ড বিশিষ্ট খড়ার পুরসভা। কয়েকমাস আগে বিভিন্ন ওয়ার্ডে বসানো হয়েছিল সাংসদ দেবের তহবিলের টাকায় বেশ কয়েকটি হাইমাস্ট লাইট। সঙ্গে সাধারণ পথবাতিও লাগানো হয়।
ঘাটাল: সাংসদ তহবিলের টাকায় পুরসভার একাধিক ওয়ার্ডে বসানো হয়েছিল সুউচ্চ আলোকস্তম্ভ (High Mast Light)। অভিযোগ, অধিকাংশই দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে বিকল হয়ে পড়ে রয়েছে। সন্ধ্যা হলেই অন্ধকারে ডুবে যায় ঘাটালের খড়ার পুরএলাকা। ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে পড়ে এই পুরসভা। সেই কেন্দ্রের সাংসদ দীপক অধিকারী ওরফে দেব। আলোর নীচে আঁধারের এই ‘খেলা’য় পুরবাসীর রোষ সাংসদের দিকেই। একগুচ্ছ অভিযোগ এলাকার লোকজনের। সরব বিজেপি, সিপিএমও। মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল ব্লকের ১০টি ওয়ার্ড বিশিষ্ট খড়ার পুরসভা। কয়েকমাস আগে বিভিন্ন ওয়ার্ডে বসানো হয়েছিল সাংসদ দেবের তহবিলের টাকায় বেশ কয়েকটি হাইমাস্ট লাইট। সঙ্গে সাধারণ পথবাতিও লাগানো হয়। এলাকাবাসীর অভিযোগ, কিছুদিন যেতে না যেতেই একে একে বাতিগুলি খারাপ হতে শুরু করে। যার জেরে সন্ধ্যার পরই অন্ধকারে ডুবছে একাধিক ওয়ার্ড।
এলাকার লোকজনের অভিযোগ, দীর্ঘ কয়েকমাস ধরে ওয়ার্ডের কাউন্সিলর থেকে চেয়ারম্যান সকলকে জানিয়েও কোনও সুরাহা মেলেনি। স্থানীয় সিপিএম নেতা দেবব্রত রায় বলেন, “হাইমাস্ট লাইট বসাতে ৮ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। অথচ ছ’মাসও যায় না, খারাপ হয়ে যাচ্ছে। আমরা বাজার থেকে ১০০ টাকা দিয়ে একটা বাতি কিনলে তার ওয়ারেন্টি থাকে। অথচ লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে হাইমাস্ট লাইট বসিয়েছে। তার কোনও ওয়ারেন্টি পিরিয়ড নেই। এখানে বড় দুর্নীতি হচ্ছে। সঠিক তদন্ত হলে সব সামনে আসবে।” একইসঙ্গে দেবব্রত রায়ের দাবি, তৃণমূল নেতাদের বাড়ির সামনে ২টো করেও হাইমাস্ট লাইট বসিয়ে দিয়েছে। যেখানে দরকার সেখানে আলো নেই।
এ বিষয়ে ঘাটালের বিজেপি বিধায়ক শীতল কপাটের নিশানায় সাংসদ দেব। শীতল কপাটের অভিযোগ, “যে আলোগুলো খারাপ হয়ে পড়ে আছে সেগুলো ঠিক হচ্ছে না। অথচ নতুন করে ৯১ লক্ষ টাকা খরচ করে টেন্ডার হচ্ছে। ৮ লক্ষ টাকা খরচ পড়েছে এক একটি হাইমাস্ট লাইটের জন্য। আর সেই লাইট সাপ্লাই দেন আমাদের সাংসদবাবুর কাছের এক বন্ধু। ৮ লক্ষ টাকার হাইমাস্ট লাইট থেকে সাংসদবাবুর কাছে কতটা কাটমানি যায় আর কত শতাংশ তৃণমূলের কোনও নেতার কাছে থাকে সব তথ্য আমাদের কাছে আছে। সঠিক সময়ে এর তদন্ত হবে। অপেক্ষা করুন।”
যদিও সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন খড়ার পুরসভার চেয়ারম্যান সন্ন্যাসী দোলুই। তিনি বলেন, “এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। সমস্ত জায়গায় আলো আছে। আমি সম্পূর্ণভাবে পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা করি।এই হাইমাস্ট লাইটগুলির ওয়ারেন্টি পিরিয়ড এখনও আছে। ঠিক সময়মতো তা ঠিক করাও হবে।”