Awas Yojona: বিজেপিকে জিতিয়েছেন গ্রামের লোকেরা, আবাস-তালিকায় তাই বঞ্চনার অভিযোগ
Medinipur: বিজেপির মণ্ডল সভাপতি অজিত দত্তগুপ্ত জানান, এই গ্রামে বিজেপির সমর্থক বেশি। বারবার বিজেপির জয়ের কারণেই শাসকদল এখানকার মানুষকে বঞ্চনা করেছে।
মেদিনীপুর: আবাস যোজনা (Awas Yojona) নিয়ে একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ। এরইমধ্যে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ সবংয়ে। বিজেপি করায় আবাস-শূন্য আস্ত গ্রাম, অভিযোগ এলাকার লোকজনের। এই ঘটনায় ভোট বয়কটের ডাক দিয়েছেন সবং ব্লকের ৮ নম্বর অঞ্চলের কপাললোচন গ্রামের লোকেরা। কোথাও ভূরি ভূরি দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। কোথাও আবার যোগ্য উপভোক্তাদের দূরে রেখে অযোগ্যদের সুবিধা দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে। তবে কপাললোচন গ্রামের অভিযোগ নিঃসন্দেহে চমকে ওঠার মতো। অভিযোগ, শুধুমাত্র বিজেপি করার অপরাধে আবাস যোজনার তালিকা থেকে উপভোক্তাদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। গ্রামে ৬৫০ জন ভোটার। গত লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনে এই বুথে বিজেপি জয়লাভ করেছিল বলে দাবি এলাকার লোকজনের। তারপর থেকেই কোনও সরকারি সুযোগ সুবিধা তাঁরা পাননি বলে দাবি। এলাকাবাসীর অভিযোগ বিজেপি করার জন্যই এই ‘শাস্তি’। যদিও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির কথায়, এটা অবাস্তব কথা। একটা গ্রামে কখনও সকলে বিজেপির সমর্থক হতে পারে? প্রশ্ন তোলেন তিনি। বিডিওর দাবি, ২০১৮ সালের সমীক্ষাজনিত কিছু সমস্যার কারণে এমনটা হয়ে থাকতে পারে।
কপাললোচন গ্রামের বাসিন্দাদের অভিযোগ, ভোট এলে গ্রামে নেতাদের যাতায়াত বেড়ে যায়। কিন্তু ভোট ফুরোতেই বেপাত্তা হয়ে যান সকলে। তাই এবার তাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, ভোটই দেবেন না। যদিও সবংয়ের বিডিও তুহিনশুভ্র মোহান্তি জানান, ২০১৮ সালে যখন সার্ভে হয় তখন কিছু ত্রুটি ছিল। সে কারণেই আবাস যোজনার তালিকায় সমস্যা হতে পারে। তবে সবদিক খতিয়ে দেখে সাহায্য করা হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।
বিজেপির মণ্ডল সভাপতি অজিত দত্তগুপ্ত জানান, এই গ্রামে বিজেপির সমর্থক বেশি। বারবার বিজেপির জয়ের কারণেই শাসকদল এখানকার মানুষকে বঞ্চনা করেছে। তবে সবং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হাজরা বিবি বলেন, বিজেপি করার জন্য কেউ পরিষেবা পাবেন না, এই অভিযোগের কোনও ভিত্তিই নেই।
একইসঙ্গে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির বক্তব্য, একটা গ্রামে কখনই সকলে বিজেপি হতে পারেন না। সুতরাং কোনও ত্রুটির কারণে এমনটা হয়ে থাকতে পারে। এরসঙ্গে রাজনীতিতে মিলিয়ে দিলে চলবে না। তিনিও বিষয়টি দ্রুত খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন। এ বিষয়ে রাজ্যের মন্ত্রী তথা সবংয়ের বিধায়ক মানস রঞ্জন ভুঁইয়্যা বলেন, “এ রকম কোনও খবর আমার কাছে এসে পৌঁছয়নি। সঠিকভাবে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।” তিনিও ২০১৮ সালের সমীক্ষার বিষয়টি উল্লেখ করেন।