Ghatal College: করোনাকালে ‘কলেজ ফি’ নাভিশ্বাস করে তুলেছে পড়ুয়াদের, প্রতিবাদে বিক্ষোভ

West Medinipur: তাঁদের অভিযোগ, 'করোনায় একদিনও হয়নি কলেজ! এরপরও কেন দেব ফি?'

Ghatal College: করোনাকালে 'কলেজ ফি' নাভিশ্বাস করে তুলেছে পড়ুয়াদের, প্রতিবাদে বিক্ষোভ
ফি মকুবের দাবিতে প্রতিবাদে পড়ুয়ারা (নিজস্ব ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 07, 2021 | 5:51 PM

ঘাটাল: ফের রাস্তায় ছাত্র-ছাত্রীরা। এবার কলেজ ফি মকুবের দাবিতে রাজ্য সড়ক অবরোধ করতে থাকেন তারা। যার জেরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে ঘাটাল পাঁশকুড়া রাজ্য সড়ক। দেখা দেয় তীব্র যানজট। খবর পেয়ে ঘাটাল থানার পুলিশ গিয়ে পড়ুয়াদের বুঝিয়ে যান-চলাচল স্বাভাবিক করে দেয়।

ঘাটাল পাঁশকুড়া রাজ্য সড়কের হাসপাতাল মোড়। অভিযোগ দীর্ঘদিন করোনা আবহে বন্ধ ছিল কলেজ। দ্বিতীয় বর্ষের প্রথম ও দ্বিতীয় সেমিস্টারের পরীক্ষা দিতে হয়েছে ব্যক্তিগত কাগজ কিনে । কিন্তু কলেজ কর্তৃপক্ষ কলেজের লাইব্রেরি ফি, বিদ্যুৎ বিল, পানীয় জলের বিল, ইউনিয়ন ফি সহ নানান ফি আদায় করছেন ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে।

পাশাপাশি ছাত্র-ছাত্রীদের দাবি, তারা দীর্ঘদিন কলেজে না আসায় কলেজের কোনও জিনিস তারা ব্যবহার করেননি। তবুও কী করে কলেজ প্রতিপক্ষ তাদের কাছ থেকে এইসব নানান বিল আদায় করতে পারে? ছাত্রদের আরও অভিযোগ যে কলেজের সেকেন্ড ইয়ারের থার্ড সেমিস্টারের ছাত্র ছাত্রীদের কাছ থেকে হাজার টাকা করে দাবি করা হচ্ছে। কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে টাকা জমা না দিলে তাদের রেজাল্ট আটকে দেওয়া হবে।

এক পড়ুয়া বলেন, “আমরা দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া। এতদিন করোনার কারণে লকডাইন ছিল। প্রথম বর্ষ অবধি কলেজেই আসিনি। কোনও রকম ফি কেন দেব? কলেজে না আসার পরও আমাদের ইউনিয়ন ফি, লাইব্রেরি ফি, বিদ্যুৎ ফি সব নেওয়া হয়েছে।এবার রেজাল্ট নেওয়ার জন্যও বলছে হাজার টাকা করে দিতে। কিন্তু এত টাকা আমরা কেন দেব?এমনকী নিজেরাই খাতা, পেন কিনে আমরা পরীক্ষা দিয়েছি।কলেজ থেকে কিছুই নিইনি। তাহলে কী কারণে আমরা কলেজকে টাকা দেব? ”

এরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন পড়ুয়ারা। ফি মকুবের দাবিতে রাজ্য সড়কের উপর বসে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে তাঁরা। ছাত্র ছাত্রীদের বিক্ষোভের জেরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে ঘাটাল পাঁশকুড়া রাজ্য সড়ক। খবর পেয়ে ঘাটাল থানার পুলিশ গিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের বুঝিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করে। ইতিমধ্যে ছাত্র-ছাত্রীরা নিজেদের দাবি ঘাটাল মহকুমা শাসকের কাছে জমা করেছেন। এবিষয়ে কলেজের তরফ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

প্রসঙ্গত, প্রায় দেড় বছর পর খুলেছে স্কুল। তাও নবম, দশম, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে। কিন্তু এখনও স্কুলে যেতে অনীহা পড়ুয়াদের। উপস্থিতির হার অন্তত তেমনটাই বলছে। বিশেষত বেশ কয়েকটি জেলায় এই ছবি চোখে পড়েছে। তাই সেই উপস্থিতির হার বাড়াতে এবার তৎপর শিক্ষা দফতর। স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের চিঠি পাঠানোর পাশাপাশি বিকাশ ভবনের তরফে জেলা প্রশাসনকেও ওই বিষয়ে নির্দেও দেওয়া হয়েছে। রাজ্য়ের শিক্ষা দফতরের (Education Department) তরফ থেকে প্রধান শিক্ষকদের চিঠি দেওয়া হয়েছে। তার কিছু নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: Corona: করোনা আক্রান্ত একাধিক শিক্ষিকা, আতঙ্ক শ্রীরামপুরের গার্লস স্কুলে