১০ হাজার নয়, ট্যাব কেনার জন্য ২০ হাজার টাকা ঢুকল পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্টে!

কেশপুরের একটি স্কুলে ছাত্রীদের অ্যাকাউন্টে দুবারে ঢুকল মোট ২০ হাজার টাকা। আর তা নিয়ে তৈরি বিতর্ক।

১০ হাজার নয়, ট্যাব কেনার জন্য ২০ হাজার টাকা ঢুকল পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্টে!
ফাইল ছবি
Follow Us:
| Updated on: Jan 29, 2021 | 1:13 PM

পশ্চিম মেদিনীপুর: অনলাইন পঠনপাঠনের জন্য দ্বাদশ শ্রেণির প্রত্যেক পড়ুয়াকে ট্যাব দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরবর্তীতে ট্যাব না দিয়ে তা কেনার জন্য প্রত্যেক দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়ার অ্যাকাউন্টে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) কেশপুরের একটি স্কুলে ছাত্রীদের অ্যাকাউন্টে দুবারে ঢুকল মোট ২০ হাজার টাকা। আর তা নিয়ে তৈরি বিতর্ক।

BFC SUNIL

পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরের ধলহারা পাগলীমাতা উচ্চবিদ্যালয়ে দ্বাদশ শ্রেণির ২৪ জন ছাত্রছাত্রীর অ্যাকাউন্টে ট্যাব কেনার জন্য ২০ হাজার টাকা করে ঢুকেছে বলে দাবি কর্তৃপক্ষের। গত ২১ জানুয়ারি বিদ্যালয়ের দ্বাদশ শ্রেণির ভোকেশন্যাল বিভাগের ২৪ জনের অ্যাকাউন্টে ১০ হাজার করে দু’বারে মোট ২০ হাজার টাকা জমা পড়ে।

ছাত্রছাত্রীদের অভিযোগ, স্কুল কর্তৃপক্ষ অতিরিক্ত দশ হাজার টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে। তা না করলে অ্যাডমিট কার্ড আটকে যাবে বলেও কর্তৃপক্ষের তরফে বলা হচ্ছে। এদিকে টাকা ফেরৎ দিতে রাজি নয় ছাত্রছাত্রীরা। স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে দুর্নীতিরও অভিযোগ তুলছেন ছাত্রছাত্রীর অভিভাবকরাও।

ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকদের দাবি, স্কুল কর্তৃপক্ষকে অতিরিক্ত টাকা ফেরত দেবে না। সরাসরি শিক্ষা দফতরের আধিকারিকদের হাতেই অতিরিক্ত টাকা ফেরত দিতে চান তাঁরা। তা না হলে এই টাকা নিয়ে দুর্নীতি হবে বলে অভিযোগ তাঁদের।

আরও পড়ুন: এবার বৃষ্টির সতর্কতা জারি! কোথায় কোথায় কনকনে ঠান্ডাতেও বৃষ্টির পূর্বাভাস?

তবে কেন এমনটা হল? কী বলছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক? স্কুলের প্রধান শিক্ষক শ্যামলকুমার ঘটকের বক্তব্য, স্কুলের ইমেল আইডিতে ভুল বানান টাইপ করা হয়েছিল। প্রথমবার   ভুল বানানযুক্ত ই-মেল আইডি উল্লেখিত তালিকা আপলোড করার পর যখন সেভ করা হয়েছে, সফটওয়্যারের কারণেই তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে  উচ্চ কর্তৃপক্ষের কাছে চলে গিয়েছিল। পরে যখন সঠিক ই-মেল আইডি উল্লেখিত তালিকাটি আপলোড করা হয়, দ্বিতীয়বারের জন্য তা আবার উচ্চ কর্তৃপক্ষের কাছে চলে যায়।

হার্ড কপি যখন ঝাড়গ্রামের নোডাল অফিসে জমা দিতে যাওয়া হয়, গোটা বিষয়টি গোচরে আসে। ততক্ষণে ছাত্রছাত্রীদের অ্যাকাউন্টে দুবার করে টাকা ঢুকে গিয়েছে। বিষয়টি কাউন্সিল অফিসও জানে। অতিরিক্ত টাকা টিআর চালান করে ফেরত দিতে হবে।

প্রধান শিক্ষকের আরও বক্তব্য, এক্ষেত্রে  সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্তারা তাঁকে জানিয়েছেন, ছাত্রছাত্রীদের ব্যাঙ্ক পাসবুক নিয়ে তা প্রিন্ট আউট বার করতে। যাতে দুবার করে টাকা ঢোকার বিষয়টি প্রমাণ পাওয়া যায়। এরপর সেটি টিআর সেভেন চালান করে স্টেট ব্যাঙ্ক মারফত সরকারি খাতে তা জমা দিতে হবে।  সেই কপি ছাত্রছাত্রীদের তালিকা-সহ ফরওয়ার্ডিং লেটার করে দফতরে জমা দিয়ে দিতে হবে। কিন্তু তাঁর অভিযোগ, এই গোটা প্রক্রিয়া করতে গিয়েই ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকদের বিক্ষোভের মুখে পড়ছেন তাঁরা। অতিরিক্ত টাকা ফেরত দেওয়ার বিষয়ে ছাত্রছাত্রীদের অনুরোধ করা হয়েছে বলে দাবি প্রধান শিক্ষকের।